নির্যাতিতা রানিকুঠির নামী স্কুলের ছাত্রী। তার অভিযোগ,গৃহশিক্ষকের বাড়িতে পড়তে গেলে তিনি ঘরের দরজা বন্ধ করে দিতেন। দু'টি কার্তুজ দেখিয়ে গুলি করার ভয় দেখাতেন। এইভাবে দিনের পর দিন হুমকি দিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ করতেন ওই গৃহশিক্ষক। ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে গৃহশিক্ষকের বাড়িতে পড়তে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। সেইসময় গৃহশিক্ষক ছাত্রীর বাড়িতে পড়াতে আসতেন। অভিযোগ, তখনও দরজা বন্ধ করে কার্তুজ দেখিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন রাজীব।
advertisement
ভয়ে এতদিন চুপ থাকলেও সোমবার রাতে কিশোরী বাড়িতে জানায়। বাড়ির লোক বাঁশদ্রোণী থানায় অভিযোগ দায়ের করে। বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। প্রতিবেশীদের দাবি, রাজীব কোচিং সেন্টার খুলে পড়ানো শুরু করেছে বছর দেড়েক আগে। মঙ্গলবার ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা হয়। তার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে।
গৃহশিক্ষকের বাড়ি থেকে দু'টি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে৷ অভিযুক্ত মোবাইলে ছাত্রীর ছবি বা ভিডিও তুলে রেখেছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়েছে৷ মামলা দায়ের হয়েছে অস্ত্র আইনেও৷ কেন রাজীবের প্রতিবেশীরা কিছু টের পেলেন না?ছাত্রীর বাড়িতে ধর্ষণ হলে কেন পরিবারের লোক কিছু টের পেলেন না?ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।