সিপিএম নেতারা এ কথা বললেও দলের শ্রমিক সংগঠন সিটুর রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু অবশ্য জানাচ্ছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের ক্ষেত্রে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনকে সঙ্গে নিতেও আপত্তি নেই তাঁদের৷ বরং আইএনটিটিইউসি যদি সিটুর সঙ্গে যৌথ আন্দোলনে শরিক হয়, তাহলে তাকে স্বাগত জানিয়েছেন অনাদি সাহু৷
সোমবার দেশ বাঁচাও দিবস পালন করে বাম শ্রমিক সংগঠনগুলি৷ সেই অনুষ্ঠানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সিটু-র রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু বলেন, 'আমরা বিভিন্ন বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি৷ সেই আন্দোলনে তৃণমূল এলে স্বাগত৷'
advertisement
প্রসঙ্গত গত কয়েকদিন ধরেই তৃণমূলের প্রতি নমনীয় মনোভাব দেখিয়েছেন সিপিএম নেতারা৷ এমন কি ত্রিপুরায় তৃণমূলের উপরে হামলার ঘটনার কড়া নিন্দা করে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর তরফে বিবৃতি পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়েছে৷ এমন কি, জাতীয় ক্ষেত্রের মতো ত্রিপুরায় বিজেপি-কে সরাতে তৃণমূল- সিপিএম সমঝোতা হবে কি না, সেই জল্পনাও শুরু হয়েছে৷
কিন্তু এই সমস্ত সমীকরণের মধ্যেও রাজ্যে নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা ধরে রাখতে তৃণমূলের সঙ্গে কোনওরকম আপসে রাজি নন সিপিএম নেতারা৷ নির্বাচনী লড়াইয়ে বিজেপি-তৃণমূলকে একই আসনে বসিয়ে পর্যুদস্ত হওয়ার পরেও রাজ্যের শাসক দলের প্রতি নিজেদের মনোভাব বদলে নারাজ সিপিএম৷ কিন্তু দলেরই রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এবং সিটু-র রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু বুঝিয়ে দিলেন, শ্রমিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে এ রাজ্যেও তৃণমূলের হাত ধরতে আপত্তি নেই তাদের৷ ফলে সিপিএম- তৃণমূল দূরত্ব কমা নিয়ে যে চর্চা রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে, অনাদি সাহুর বক্তব্যে তা আরও জোরালো হল৷
