হাইকোর্টের কর্মচারীদের মধ্যে জনা কয়েক এই নির্দেশনামা জাল করার সাহায্য করেছিলেন বলে সন্দেহ প্রকাশ করছে সিআইডি। এরপরই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ নিম্ন আদালতের হাইকোর্টের কর্মচারীদের একাংশের বয়ান রেকর্ড করার নির্দেশ দিয়েছে সিআইডিকে। অর্থাৎ, তদন্তের স্বার্থে সিআইডি কর্তাদের হাইকোর্টের অন্দরে যেতে কোনও বাধা রইল না বলেই মনে করছে ভবানী ভবন।
advertisement
আরও পড়ুন: পর পর দু’ বার কেঁপে উঠল ঝাড়গ্রাম, ভূমিকম্প না অন্য কিছু? শীতের রাতে জেলা জুড়ে আতঙ্ক
শুধু তাই নয়, এই মামলায় যেহেতু হাইকোর্টের নির্দেশনামা জাল করার ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে একজন আইনজীবীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার সূত্র ধরেই আরও চার আইনজীবী সিআইডি নজরে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সেই সমস্ত আইনজীবীকেও এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিআইডি।
উল্লেখ্য কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ জাল করে নিম্ন আদালত থেকে জামিন সাজাপ্রাপ্ত আসামীর। কান্দির ঘটনায় এফআইআর করে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুরু করেছিল সিআইডি ।
উল্লেখ্য, লালু শেখ নামে এক সাজাপ্রাপ্ত বন্দির বিরুদ্ধে হাইকোর্টের নথি জাল (জামিনের নির্দেশ) করে তা কান্দি আদালতে পেশ করা হয়। সেই নথি দেখে নিম্ন আদালত জামিন দেয় লালুকে। পরে ওই নথি খতিয়ে দেখে বোঝা যায় ওই জামিনের নির্দেশের নথি ভুয়ো। বিষয়টি জানানো হয় কলকাতা হাইকোর্টে। এরপর হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, এই ঘটনার তদন্ত করবে সিআইডি।
খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিল লালু শেখ। তার যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করে কান্দি আদালত। এরপর হঠাৎ কান্দি আদালতে কলকাতা হাইকোর্টের নথি পেশ করে তিনি আবেদন করেন যে তাকে কলকাতা হাইকোর্ট জামিন দিয়েছে। সেই নথি দেখে জামিন মঞ্জুর করে নিম্ন আদালত। পরে সেই নথি খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেখা যায় হাইকোর্টের সেই নথি জাল।
এই ঘটনার তদন্তে নেমে সিআইডির হাতে গ্রেফতার হয় লালু শেখের ছেলে লাবু শেখ। সিআইডি সূত্রে খবর, লাবু তার বাবার মুক্তির জন্য নথি জাল করেছিল। এক আইনজীবী সাহায্য করেছিলেন। পরে সেই আইনজীবীও গ্রেফতার হন। তবে তদন্তে নেমে নিম্ন আদালতের আইনজীবী ও কর্মীদের সঙ্গে হাইকোর্টের কর্মীর একাংশের যোগসূত্র পাওয়া যাচ্ছে বলে দাবি সিআইডর।