জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে ওই মামলাটি দায়ের হয়েছিল। ভাটপাড়ায় একটি নিকাশি নালা নির্মাণে টেন্ডার ডাকা হলেও তা অর্জুন ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তিকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, ওই নালা নির্মাণে সাড়ে ৪ কোটি টাকা খরচ দেখানো হলেও তা আসেল করাই হয়নি। এই মামলার তদন্ততেই এ বার অর্জুন সিংকে তলব করল সিআইডি। অর্জুনের কাছে ওই মামলা সম্পর্কিত অনেক তথ্য রয়েছে বলে সিআইডি সূত্রে খবর। বিজেপি সাংসদকে আগামী ২৫ মে ভবানীভবনে তলব করা হয়েছে। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অর্জুন সিং। তিনি বলেন, 'ইন্ট্রা নামে একটি সংস্থাকে কাজের বরাত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা কাজ করেনি। আর অর্থ কারচুপির সঙ্গেও আমার কোনও যোগ নেই।' কিন্তু নারদ কাণ্ডের মধ্যেই যেভাবে অর্জুন সিংয়ের বাড়িতে হানা দিল সিআইডি, এমনকী তাঁকে ডেকে পাঠানো হল ভবানীভবনে, তাতে রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
advertisement
প্রসঙ্গত, ভাটপাড়া–নৈহাটি সমবায় ব্যাংকের ওই দুর্নীতির ঘটনাতেও বিজেপি সাংসদ হয়েও অর্জুন সিংয়ের বাড়িতে বারবার তল্লাশি হয়েছিল। ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় ভাটপাড়া–নৈহাটি সমবায় ব্যাংকের এক আধিকারিককে গ্রেফতারও করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন ভাটপাড়া পুরসভার এক ঠিকাদারও। এমনকী ১৩ কোটি টাকা বেনামী অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করার অভিযোগে অর্জুনের বিরুদ্ধে এফআইআর'ও করেছিল অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চ (ACB)।
প্রসঙ্গত, বছর তিনেক আগে ভাটপাড়া–নৈহাটি সমবায় ব্যাংকের প্রায় ২০ কোটি টাকা ঋণ অবৈধভাবে পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তদন্তে উঠে আসে, ২০১৮–র অক্টোবরে দু’দফায় মোট ১৩ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল ভাটপাড়া পুরসভার ঠিকাদার তথা ঋণগ্রহীতা অভিজিৎ চক্রবর্তীকে। কিন্তু সেই টাকা যায় অন্য অ্যাকাউন্টে। নাম জড়ায় ব্যাংকের তৎকালীন সিইও চন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের। তিনি গ্রেফতারও হন। ওই ঘটনাতেই নাম জড়ায় বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের। তাঁর বিরুদ্ধে ১৩ কোটি টাকা বেনামি অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফারের অভিযোগ ওঠে। আর এই অর্থ ছিল আসলে ভাটপাড়া চেয়ারম্যানের রিলিফ ফান্ডের।