সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় বগটুই মামলার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত লালন শেখের দেহ। যা নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে বিতর্ক। লালনের স্ত্রীর তরফে এই মৃত্যুর জন্য সিবিআই কর্তাদের দায়ি করে তিন পাতার অভিযোগ পত্র জমা দেন। সূত্রের খবর, তাতে সরাসরি সিবিআই কর্তাদের বিরুদ্ধে লালনকে মানসিকভাবে চাপ দেওয়া, শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করার অভিযোগ এনে খুনের অভিযোগ আনেন লালনের স্ত্রী রেশমা বিবি। তারই ভিত্তিতে এফআইআর করে রামপুরহাট থানার পুলিশ । তারই তদন্তভার হাতে নিয়ে এবার লালনের অস্বাভাবিক মৃত্যু ইস্যুতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে সিআইডির তরফে বলে সূত্রের খবর। কী জানতে চাওয়া হয়েছে?
advertisement
আরও পড়ুন, হাইকোর্টে এসে যোগ্য়তা প্রমাণ তৃণমূল নেতার, মামলাকারীকেই জরিমানা করলেন বিচারপতি
সূত্রের খবর, হেফাজতে থাকাকালীন কার তত্ত্বাবধানে ছিলেন লালন?
অস্থায়ী ক্যাম্পে অভিযুক্তকে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ছিল কি না?
ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার কী ব্যবস্থা ছিল?
নিরপত্তার দায়িত্বে কারা ছিলেন?
ঘটনার সময় তদন্তকারী অফিসার কোথায় ছিলেন?
সেই সময় ক্যাম্পে কারা ছিলেন?
এমন কিছু বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের কাছে বলে সিআইডি সূত্রে খবর। অন্যদিকে এবার লালনের বাড়িতে চুরির অভিযোগ তুলে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে আরও এক অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন রেশমা বিবি।
ইতিমধ্যে লালনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় রেশমার বয়ান রেকর্ড করেছে সিআইডি। বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে আত্মীয় ও গ্রামবাসীদের একাংশের। সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল জাহাঙ্গীরের বয়ান। যিনি লালনের মৃত্যুর দিন সিবিআই হেফাজতে ছিলেন। রামপুরহাট সংশোধনাগারে গিয়ে তার বয়ান রেকর্ড করেছে সিআইডি। এবার দেখার সিআইডির নোটিশ পেয়ে সিবিআইয়ের তরফে কি জবাব দেওয়া হচ্ছে? তবে সিবিআই অন্দরের খবর যে ভাবে বগটুই মামলার অভিযুক্তর মৃত্যুতে অন্য তদন্তকারী অফিসারের নামে অভিযোগ এনেছে রেশমা বিবি, তা ভাল ভাবে নেয়নি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।