নবান্ন সূত্রে খবর মোট ১৪ টি জেলা ও স্বাস্থ্য জেলায় ৫০ শতাংশ টার্গেটই পূরণ হয়নি চোখের ছানি অপারেশনের দিক থেকে। যা নিয়ে শোরগোল পড়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের অন্দরে। তার মধ্যে মালদহ, পুরুলিয়া, আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং ও উত্তর দিনাজপুর এই পাঁচ জেলায় ২০ শতাংশ টার্গেটই পূরণ হয়নি। যার মধ্যে মালদা জেলায় তিন শতাংশ ও পুরুলিয়া জেলায় চার শতাংশ টার্গেট পূরণ হয়েছে। বিনামূল্যে এই পরিষেবা দেওয়া হলেও কেন এই পরিষেবা সাধারণ মানুষের কাছে লক্ষ্য মতো পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে নবান্ন এর শীর্ষ মহল।
advertisement
আরও পড়ুন : আগামী ২-৩ ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝেঁপে বৃষ্টি কিছু জেলায়, সতর্কতা হাওয়া অফিসের
নবান্ন সূত্রে খবর রাজ্যে এই মুহূর্তে চোখের সার্জন রয়েছেন ১৯৪ জন। প্রত্যেক সার্জনকে মাসে ৬০টি করে অপারেশন করার টার্গেট দেওয়া হয়েছিল। সেক্ষেত্রে রাজ্যজুড়ে মোট টার্গেট যা দেওয়া হয়েছিল তার ৫৪ শতাংশ পূরণ করা গিয়েছে। মূলত চলতি আর্থিক বর্ষের প্রথম তিন মাসে এই রিপোর্ট দেখেই হতবাক রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। যদিও এর মধ্যে নদিয়া, জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা উল্লেখযোগ্যভাবে টার্গেট পূরণের কাছাকাছি পৌঁছতে পেরেছে। বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলা ১৮৭ শতাংশ টার্গেট পূরণ করেছে যাকে নজিরবিহীনও বলছে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। তবে অধিকাংশ জেলায় চোখের সার্জনরা কেন এই টার্গেট পূরণ করতে পারলেন না তা নিয়ে এবার রিভিউ করার নির্দেশ জেলাশাসকদের।
আরও পড়ুন : কচু বনে ডেঙ্গির আঁতুড় ঘর, তৎপর কলকাতা পুরসভা
স্বাস্থ্য দফতরের তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে প্রতিটি জেলায় জেলাশাসকের নেতৃত্বে ছানি অপারেশন কেন কম হচ্ছে তা পর্যালোচনা করার জন্য একটি করে টাস্ক ফোর্স গঠন হবে। পাশাপাশি যত সংখ্যক ছানি অপারেশন বাকি রয়েছে ৩০ এ নভেম্বরের মধ্যে তা শেষ করতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাগুলিকে। পাশাপাশি সাত দিনের বেশি কোনও অপারেশন ফেলে রাখা যাবে না। কোনও রোগীর ছানি অপারেশন দরকার বলে চিহ্নিত হওয়ার পর সাত দিনের মধ্যেই সেই অপারেশন করে নিতে হবে। জেলাগুলিকে এমনটাও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। পাশাপাশি প্রতিটি হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজগুলির আউটডোরে প্রতিদিন চোখের আউটডোর চিকিৎসার ব্যাবস্থা রাখতে হবে। অন্তত প্রতিদিন দিনে দুটি শিফটে চোখের অপারেশন করতে হবে। প্রত্যেক চোখের সার্জনদের অন্তত প্রতি সপ্তাহে দুবার আউটডোর চিকিৎসায় থাকতে হবে। পাশাপাশি প্রত্যেক চোখের সার্জনদের অন্তত সপ্তাহে তিনটি অপারেশন করতে হবে। চোখের সার্জেনদের মধ্যে যাঁদের খারাপ পারফরম্যান্স হবে, তাঁদের প্রতি মাসে রিভিউ হবে এবং সেই রিভিউ রিপোর্ট স্বাস্থ্য দফতরকে পাঠাতে হবে-তেমনটাই স্বাস্থ্য দফতরের তরফের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। প্রশাসনিক আধিকারিকদের মতে সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের কাছে ‘চোখের আলো’ প্রকল্পের সুবিধা যাতে আরও বেশি করে পৌঁছায় তার জন্য এই বিশেষ উদ্যোগ নবান্নের।