চিংড়িঘাটা উড়ালপুল নিয়ে এই সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটালেন কলকাতার মেয়র তথা পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। শনিবার কলকাতা পুরসভায় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সবটাই পরিষ্কার জানান। চিংড়িঘাটা উড়ালপুল ভেঙে দেওয়ার বিষয় খারিজ করে দিয়ে জানান, ‘এখন পর্যন্ত উড়ালপুল ভেঙে দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে চিংড়িঘাটা উড়ালপুলের ডিজাইনে গলদ ছিল। বামফ্রন্ট আমলে ব্রিজ তৈরি হয়েছিল। তবে বিশেষজ্ঞদের মতামত যে, এখন চিংড়িঘাটা উড়ালপুল যানবাহন চলাচলের উপযুক্ত আছে।’
advertisement
আরও পড়ুন: আধার বায়োমেট্রিক প্রতারণা জারি, AEPS জালিয়াতি ঠেকাতে কী করবেন? কোনটা না, জানাল কলকাতা পুলিশ
গত জুলাইয়ের বৈঠকের পর জানা গিয়েছিল, উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক যে, সেই বিষয়ে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসতে বাধ্য হয় রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের। বিধাননগরে কেএমডিএ-র অফিসে চিংড়িঘাটা উড়ালপুলের বর্তমান অবস্থা নিয়ে বৈঠক হয়। কেএমডিএ-র সিইও ছাড়াও কেএমডিএর রাস্তা ও সেতু বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা এবং পরামর্শদাতা সংস্থার শীর্ষকর্তারা হাজির ছিলেন। তার পরেই সিদ্ধান্ত হয়, আপাতত কিছু দিন বিকল্প ব্যবস্থায় যান চলাচল করবে চিংড়িঘাটা উড়ালপুলে।
আরও পড়ুন: তিস্তার পারে বসে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন, জলপাইগুড়ি শহরে অবিশ্বাস্য দৃশ্য! দেখুন
বিধানসভায় বাদল অধিবেশনে এ নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করা হয়। সেই বৈঠকে ছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ-সহ আবাসন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, পুর ও নগরোন্নয়ন সচিব খলিল আহমেদ, কলকাতা মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)-র সিইও বিজয় ভারতী-সহ প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা। কেএমডিএ-র এক আধিকারিক দাবি করেছিলেন, উড়ালপুল নির্মাণের সময়েই বড় ধরনের ত্রুটি থেকে গিয়েছে। তাই এত অল্প সময়ের মধ্যেই উড়ালপুলটি বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। উড়ালপুলের ১৯ ও ২০ নম্বর পিলার দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে খবর। তাই এখনই যান চলাচল নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। তার পর থেকেই মেরামতের কাজ শুরু করেছিল প্রশাসন। আর শনিবার কলকাতার মেয়র জানিয়ে দিলেন, চিংড়িঘাটা উড়ালপুল কোনও ভাবেই ভাঙা হচ্ছে না।
বিশ্বজিৎ সাহা