আর এই ছবি নিয়েই যথেষ্ঠ চিন্তায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘ হু ‘। আর এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন আমাদের রাজ্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং গবেষকরা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন শ্বাসনালীর সংক্রমণের সময় আমাদের দেশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে নতুন এই চিনা ভাইরাস। চিনের উত্তরাংশে এই সংক্রমণের প্রকোপ সব থেকে বেশি। অচেনা এই ভাইরাসের কারণে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন সেই দেশের বহু মানুষ। এখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-সহ নানা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের চিন্তা নতুন এই সংক্রমণ আবার করোনার মত কোনও জীবাণু নয় তো! যদিও চিনের তরফে জানানো হয়েছে, আরএসভি, মাইক্রোপ্লাজমা ব্যাক্টেরিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জার মত সংক্রমণই সব থেকে বেশি। তবে অচেনা ভাইরাসের কথা সরকারি ভাবে জানানো হয়নি।
advertisement
আরও পড়ুন : ‘ইঁদুরের গর্ত’ বেয়েই ১৭ দিন পর অন্ধকার থেকে আলোয় ৪১ প্রাণ! চলুন ফিরে দেখি দুঃসহ সময়ের সেই যাত্রাপথ
পরিসংখ্যান বলছে, বেজিং-এর মতো বড় শহরগুলিতে বহির্বিভাগ-সহ প্রতিদিন প্রায় এক থেকে দেড় হাজার মানুষ সংক্রমণের শিকার হয়ে হাসপাতালে যাচ্ছেন। যার মধ্যে সিংহভাগই শিশুরা। আর পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে এই রোগের প্রাদুর্ভাব চিন্তায় রেখেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে। কারণ প্রাথমিক ভাবে মৃত্যুর হার নেহাতই কম বলে চিনা প্রশাসন দাবি করলেও, দীর্ঘ মেয়াদী সময়ে এই সংক্রমণের কী প্রভাব পড়তে পারে শিশুদের শরীরে, তা এখনও জানা নেই কারওরই।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বক্তব্য, বর্তমান সময়ে যাতায়াত অবাধ রয়েছে চিন দেশ থেকে, তাই এই সংক্রমণ আমাদের দেশে ছড়িয়ে পড়া অসম্ভব কিছুই নয়। ফলে সিঁদুরে মেঘেই অশনি সঙ্কেত দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
