মেয়ের মাথার যন্ত্রণা বাড়ছে এই শীতে খোলা আকাশের নিচে ভর্তির অপেক্ষায় বসে তাঁরা৷ ইরসান হোসেন ও সেলিমা বিবি তাঁদের একমাত্র মেয়ে মিরাতুন খাতুনের (৮) মাথায় টিউমার নিয়ে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে এসে দেখান। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণার বড়গাছিয়া এলাকাতে। কয়েকবার দেখানোর পর ডাক্তার পরামর্শ দেন ওই টিউমার অপারেশন করতে হবে। তত দিনে শিশুটির রীতিমত মাথার যন্ত্রণা শুরু হয়ে গেছে। ১২ জানুয়ারি ডাক্তার তাঁর প্রেসক্রিপশনে শিশু অস্ত্রোপচার বিভাগের ২৫১ নম্বর বেড লিখে দিয়ে ভর্তি করার পরামর্শ দেন।
advertisement
আরও দেখুন
বেড পেয়ে গেছেন, সেই স্বস্তিতে হাসপাতালের অ্যাডমিশন কাউন্টারে যান সেলিমা। সেখান থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, হাসপাতালের বেড খালি নেই।ওই বেড খালি হলে হাসপাতাল থেকে ফোন করে ডেকে নেবে। মেয়ের স্বাস্থ্যের অবনতি হলে ২৬ জানুয়ারি সকাল থেকে ওই ছোট্ট মেয়েটিকে নিয়ে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসে সমস্ত জায়গাতে ঘুরতে থাকেন। যেহেতু ছুটির দিন, সেহেতু হাসপাতালের কোনও আধিকারিককে পাননি তাঁরা। তবুও ওয়ার্ড মাস্টার থেকে আরম্ভ করে হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার বাবুরা কোনওভাবে সাহায্য করেননি।
আরও পড়ুন - ভূগোল পরীক্ষায় কীভাবে লিখতে হবে, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য টিপস কালাম স্যারের
অবশেষে নিউজ ১৮ বাংলার উদ্যোগে শুরু হয়ে অসুস্থ শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তির কাজ৷ মেডিক্যাল সুপার অঞ্জন অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, অঞ্জন বাবু বিস্তারিত শোনার পর আশ্বাস দেন শিশুটিকে ভর্তি নিয়ে নেওয়ার। তখন শিশুটি যন্ত্রণায় কান্নাকাটি শুরু করেছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটির মা সেলিমা বিবির কাছে হাসপাতাল সুপারের ফোন আসে। তিনি সংশ্লিষ্ট বিভাগে যেতে বলেন, সেখানে যাওয়ার পরেই শিশুটিকে হাসপাতালের তরফ থেকে ভর্তি নিয়ে নেওয়া হয়। শুরু হয় চিকিৎসা ।
মেডিক্যাল কলেজের সুপার অঞ্জন বাবু এই রকম বিষয় জানতে পারলে যে সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেন, সেটা হাসপাতালের অন্যান্য রোগীর পরিজনেরা বলছিলেন। তবে ওয়ার্ডে বেশ কয়েকটি বেড খালি থাকা সত্বেও বাচ্চা মেয়েটিকে বারবার কেন এতদিন ঘোরানো হচ্ছিল কেন, সেটাই এখনও বড় চিন্তা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
SHANKU SANTRA