কয়েকদিন আগে বরানগরের বাসিন্দা সঞ্জীব কুমার সরকার ,তার ছোট্ট শিশু কন্যাকে নিয়ে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন ওই ডাক্তার ম্যাডামের কাছে। সেখানে গিয়ে ডাক্তার সুস্মিতা দাশগুপ্ত তাকে নিজেকে শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ বলে পরিচয় দেন। চিকিৎসাও শুরু করেন। হাতে চ্যানেল করে ছোট্ট শিশুকে ইঞ্জেকশন দেন এবং নার্সিংহোম এর মত করে নিজের বাড়িতে রেখে চিকিৎসার জন্য ৮০০০ টাকা দাবি করেন। সেই অনুযায়ী টাকাও দেন সঞ্জীব। পরদিন সকালে শিশুটির অবস্থা অবনতি ঘটলে তাকে প্রথমে সাগর দত্ত হাসপাতালে, সেখান থেকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায় সঞ্জীব। যখন হাসপাতাল নিয়ে যাচ্ছে তখন সুস্মিতা দাশগুপ্ত বলেছিলেন তার, প্রেসক্রিপশন যাতে হাসপাতাল কিংবা কোথাও না দেখায়। পরে ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সঞ্জীবের মেয়ের ভুল চিকিৎসা হয়েছে।তারপর ৫ ই ফেরুয়ারী সঞ্জীব বেলঘড়িয়া থানাতে ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।পুলিশ ওই ভুয়ো ডাক্তারের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং মানুষের জীবন নিয়ে প্রতারণার একটি মামলা রুজু করেছেন। অভিযুক্ত সুস্মিতা দাশগুপ্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ডাক্তারির যে ডিগ্রীটা তিনি লেখেন ,সেটি ভুয়ো।
advertisement
সঞ্জীবের দাবি,' আমার মেয়ে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছে। আমি অটো ড্রাইভার। ৪০ হাজার টাকা খরচা করে মেয়েকে নার্সিংহোমে চিকিৎসা করিয়েছি। কিন্তু টাকার অভাবে মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছি। তবে, সুস্মিতা দাশগুপ্তের মত একজন ভুয়ো ডাক্তারের যাতে চরম শাস্তি হয় তারজন্য আমি যতদূর হয় যাব।'