পয়লা এপ্রিল ২০১৭। সিএমআরআই হাসপাতালে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন ফিরদৌস জাহান। ২ এপ্রিল শিশু বিশেষজ্ঞ বিশ্বজিৎ ভাদুড়ি জানান অন্ত্রে নোংরা জমে থাকায় মূল-মূত্র ত্যাগ করতে পারছে না শিশুটি। করতে হবে অস্ত্রোপচার। প্রথম অস্ত্রোপচারের কয়েকদিন পরেই ফের দ্বিতীয় বার অস্ত্রোপচার করা হয়। অভিযোগ এরপর প্রায় জোর করেই ডিসচার্জ করে দেওয়া হয় শিশুটিকে। এরপর বাড়িতে থাকার কিছুদিন পরেই ফের প্রস্রাব, পায়খানা বন্ধ হয়ে যায় ছোট্ট আবদুল্লা আজমের। ফের নিয়ে যাওয়া হয় সিএমআরআইতে। আবারও অস্ত্রপচার করা হয়। বিল করা হয় তিন লাখ টাকার ওপরে। অবস্থার অবনতি হলে আমরিতে শিশুটিকে ভর্তি করে পরিবার। ২৭ ডিসেম্বর আমরিতেই মারা যায় আবদুল্লা।
advertisement
চিকিৎসকদের মতে ভুল অস্ত্রপচারে সংক্রমণ হওয়ায় অন্ত্র পচে যায় আবদুল্লার। সেকারণেই মারা যায় আট মাসের শিশু। ঘটনার পরই আলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে আজম পরিবার। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়েও অভিযোগ জানান। স্বাস্থ্য কমিশনে ডিসেম্বর মাসে এই ঘটনার শুনানি হলেও কোনও সুরাহা হয়নি। বাধ্য হয়েই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন আরসি আজম।
সিএমআরআই কর্তৃপক্ষের দাবি
'টাকা না মিটিয়েই চলে যায় রোগীর পরিবার'
'হাসপাতালে অশান্তি পাকানোর চেষ্টাও করে'
হাইকোর্ট রায় দেয় আগামী পনেরো দিনের মধ্যে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলকে তদন্তের অগ্রগতি জানাতে হবে। তা না হলে ২৮ জানুয়ারি থেকে প্রতিদিন এই কেসের শুনানি শুরু হবে। এখনও পর্যন্ত রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল যোগাযোগ করেনি আজম পরিবারের সঙ্গে।