এদিনই ডিসচার্জ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ডিসচার্ড হওয়ার বদলে নিজের ফুটফুটে আড়াই বছরের মেয়ে ঐত্রিকে চোখের সামনে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে দেখেছেন মা শম্পা দে। বাধা মানছে না শোক। বারবারই অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন সন্তানহারা মা।
১৫ জানুয়ারি জ্বর, সর্দি-কাশি নিয়ে মুকুন্দপুর আমরিতে ভর্তি করা হয় কামালগাজির বাসিন্দা ঐত্রিকে। সঙ্গে ছিলেন শম্পাও। সুস্থ হয়ে উঠছিল ঐত্রি। মঙ্গলবার হাসপাতালের প্লেরুমে মায়ের সঙ্গে খেলাও করে সে। মায়ের অভিযোগ, বুধবার সকালে মেয়েকে একটি ইঞ্জেকশন দেন নার্স। তারপরই শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। সেই সময়ে অক্সিজেন মাস্ক খুঁজেই পাননি নার্স বলে দাবি তাঁর।
advertisement
তখন ঘড়িতে ভোর সাড়ে ছটা থেকে সকাল আটটা। ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ছোট্ট ঐত্রি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে শিশুর। তবু মন মানছে না পরিবারের। আর ফিরবে না মেয়ে। কিন্তু যাদের জন্য আর ঐত্রীর মুখে মা ডাক শুনতে পাবেন না কোনোদিন, তাঁদের শাস্তির দাবিতে সোচ্চার শোকার্ত মা, পরিবার পরিজন।