বেশকিছু সংগঠনের তরফ থেকে দাবি করা হয়, আমাদের দেশে শিশুদের মধ্যে পথশিশুর সংখ্যা, ০.০৩-০.৪% এর বেশি নয়। বেশিরভাগ বাড়ির শিশুরাই বিভিন্নভাবে অপরাধের শিকার হয়। NCRB-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৮-২০২১ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে শিশুদের উপরে অপরাধের হার ছিল ৬৮%। সব থেকে আশ্চর্যের বিষয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘ক্রাই’ এর গবেষণা অনুযায়ী, এই শিশুদের উপর অপরাধের মধ্যে ৯৮% শিশুকন্যা। যার মধ্যে বেশিরভাগটাই শিশুরা অপহৃত হয়েছে এবং শিশুদের উপর যৌন অত্যাচার চালানো হয়েছে। এই পর্যবেক্ষণ বা গবেষণা রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘না জানিয়ে আসব না, হবে না,’ বিধায়কদের কেন একথা বললেন মমতা? কড়া বার্তা
গবেষকরা বলছেন, শিশুরা ৯৯% বেশি তাদের পরিচিত কিংবা পরিবারের কারোর দ্বারা অত্যাচারের শিকার হয়। এটাও তারা বলছেন, শিশুদের উপর অত্যাচার চালানো অনেকটাই সোজা।
দেখা যায়, এর মধ্যে অত্যাচারিত বেশিরভাগ শিশুই ১০ বছরের নীচে। তবে সবাই বলছে শিশুদের উপর অত্যাচার রুখতে কড়া আইনের প্রয়োজন রয়েছে। দেখা যায়, যে পরিমাণ অপরাধ সংগঠিত হয়, তার মাত্র ১০ শতাংশ আইনের শাস্তি পায়।
আরও পড়ুন: সাপের জিভ চেরা হয় কেন? কেন বার বার জিভ বের করে ওরা..৯০ শতাংশ মানুষ জানেনই না আসল কারণ
২০২০ থেকে ২১ সালের মধ্যে শিশুদের উপর অত্যাচারের মাত্রার হার ১৬% বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু পারিবারিক বলে তা নয় ,বিভিন্ন ভাবে শিশুদের উৎপীড়ন করা হচ্ছে। যার মূল কারণ পরিবারের অবহেলা বলে মনে করছেন গবেষকরা।
এই বিষয়ে সমাজতত্ত্ববিদ অনুসূয়া মিত্র বলেন, ‘‘গ্রামগঞ্জে বেশিরভাগ অভিভাবকরা ‘পকসো’ আইন সম্বন্ধে কিছুই জানেন না। যারাই শিশুদের উপর অত্যাচার করে, তাদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি প্রয়োজন। কঠোর শাস্তি না হলে অত্যাচার কিংবা এই ধরনের অপরাধ কমবে না। অপরাধ না কমলে শিশুরা ভবিষ্যতে ঘৃণার সমাজে মিশে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেটা নিয়ে ভাবা উচিত।’’