কলকাতার প্রথম হাসপাতালটি ১৭০৭ সালে গারস্টাইন প্লেসে পুরাতন দুর্গের প্রাঙ্গণে নির্মিত হয়েছিল। ফোর্ট উইলিয়াম কাউন্সিল এই হাসপাতালটি নির্মাণ করে। ১৭৭০ সাল পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে ইউরোপীয়দের জন্য নির্মিত এই হাসপাতালটি কলকাতার প্রেসিডেন্সির নামানুসারে এবং কলকাতার প্রেসিডেন্সি কারাগারের কাছাকাছি থাকার কারণে প্রেসিডেন্সি হাসপাতাল নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে, এটি প্রেসিডেন্সি জেনারেল হাসপাতাল বা সংক্ষেপে পিজি হাসপাতাল নামে পরিচিতি লাভ করে – এই নামটি এখনও সাধারণত ব্যবহৃত হয়। স্বাধীন ভারতে, ১৯৫৪ সালে কলকাতার মহান সমাজসেবী সুখলাল কর্ণানির নামানুসারে হাসপাতালটির নামকরণ করা হয় শেঠ সুখলাল কর্ণানি মেমোরিয়াল হাসপাতাল।
advertisement
স্বাস্থ্য দফতরের মতে, সরকারি হাসপাতালে বেসরকারি ধাঁচের চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার সুযোগ অনেক রোগীই পছন্দ করেন। সেক্ষেত্রে তাঁরা অতিরিক্ত খরচ করতেও রাজি থাকেন। ফলে এসএসকেএম চত্বরে নতুন প্রাইভেট কেবিন বিল্ডিং তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কর্তাদের আশা, উডবার্ন ২-এ চিকিৎসার খরচ সাধ্যের মধ্যেই থাকবে এবং রোগীদের চাহিদা পূরণ করবে। অতীতে উডবার্ন ওয়ার্ড মূলত ভিআইপি রোগীদের জন্যই বরাদ্দ ছিল। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এই পরিষেবা এখন সকলের জন্য উন্মুক্ত।
আরও পড়ুন-‘দেহব্যবসা করে অকালে জীবনটাই শেষ…! স্বামীর নরকযন্ত্রণায় ৩৪-এ মৃত্যু বিখ্যাত বলি নায়িকার, শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার ছিল না কেউ, চিনতে পারলেন?
‘পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ’ মডেলে পরিচালিত উডবার্ন ওয়ার্ডে ইতিমধ্যেই তিন ধরনের কেবিন চালু রয়েছে। এবার এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে উডবার্ন ২। সিঙ্গল, ডাবল ও স্যুইট মিলিয়ে পরিকাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ স্কিম-এর পাশাপাশি চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার স্বাস্থ্য বিমার ক্যাশলেস পরিষেবাও মিলবে এই নতুন ভবনে। এসএসকেএমের বহির্বিভাগ বা জরুরি বিভাগে আসা যে কোনও রোগী চাইলে উডবার্ন ২-এ ভর্তি হতে পারবেন। শহরের অন্যতম প্রধান সরকারি হাসপাতালে এই নতুন সংযোজনকে ঘিরে রোগী পরিবার ও স্বাস্থ্যকর্তাদের মধ্যে ইতিমধ্যেই উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে।