সোমবার বইমেলার চিরায়ত উদ্বোধনের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে উঠে এসেছে স্মৃতি। কোভিড কালে অনেক কৃতি বাঙালিকে হারিয়েছে সমাজ। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, বাপি লাহিড়ি, পিকে থেকে সুরজিত সেনগুপ্তদের কথা তুলে এনেছেন মমতা। পাশাপাশি বলেছেন, ভারত বাংলাদেশ মৈত্রীর কথাও।
এ বারে বইমেলার থিম দেশ, বাংলাদেশ। কোভিডের কারণে যে বছর বইমেলা বন্ধ ছিল, সে বছর থিম দেশ ছিল বাংলাদেশ। এবারেও সেই দেশই থাকছে। মমতা বললেন, বাংলাদেশ আর বাংলা একই ভাষায় কথা বলতে পারা এক ভৌগলিক অঞ্চল, যা আন্তরিকতা ও আশীর্বাদে ভরা।
advertisement
আরও পড়ুন: ফের জরুরি বৈঠকে মোদি, ইউক্রেনে আটক ভারতীয়দের উদ্ধারে যাচ্ছেন চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
বইমেলা নিয়ে আবেগপ্রবণ মমতা বলেন, মানুষের সার্টিফিকেট পেয়েছে এই বইমেলা। আমরা যেমন ইউনেস্কোর তরফ থেকে সম্মান পেয়েছি। অনেকে বলেন এটা বইমেলা। আমি বলি বইবেলা। এত কাগজ, এত বৈচিত্র্য কোথায় পাওয়া যাবে। মিলন মেলা আমাদের যদিও তৈরি হয়ে যাবে। কিন্তু আপনাদের যেহেতু পছন্দ সেন্ট্রাল পার্ক। তাই এই মেলা মাঠের নাম দেওয়া হোক, বইমেলা প্রাঙ্গণ। ইন্টারন্যাশনাল ব্র্যান্ড যেহেতু তাই এটি সংযুক্ত হবে। আগামী বছর অন্তর্জাতিক সঙ্গীত মেলাও করব।
আরও পড়ুন: বোতল বোতল মদ ফেলা হচ্ছে নর্দমায়! ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে বিপাকে ভদকা!
চিরাচরিত প্রথায় এ বার বইমেলায় আছে রাশিয়ার স্টলও। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্য এই বিষয় নিয়ে মমতা বলেন, যুদ্ধ হচ্ছে। আমি বিশ্ব শান্তির পক্ষে। আমি একটা চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে লিখেছি। ভারত এই যুদ্ধের সমাধান করে দিক। আমি বলব, স্টল দেখে বিক্ষোভ করবেন না। আমাদের বাংলার সংস্কৃতি আছে। আসুন বিশ্ব শান্তির প্রার্থনা করি। আর যুদ্ধ নয়। এটাই বইমেলায় প্রার্থনা হোক।
আবীর ঘোষাল