শনিবারই জামিনের নির্দেশ পৌঁছে যায় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে৷ তারপর আর অপেক্ষা করতে হয়নি৷ এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ড থেকেই পাকাপাকি ভাবে জেলমুক্তি। রবিবার সকালে ঝাড়গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেবেন ছত্রধর৷ সেখান থেকে বাইক মিছিল করে পা রাখবেন নিজের গড়ে, লালগড়ে৷
রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় লালগড় আন্দোলন। সেই আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন ছত্রধর। 'পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণের কমিটি'র নেতা৷ ২০০৮ সালে ছত্রধরের নেতৃত্বেই আন্দোলন তুঙ্গে ওঠে। সেবছর নভেম্বরে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কনভয়ের পথে বিস্ফোরণ নাড়িয়ে দেয় রাজ্য রাজনীতিকে৷ শালবনির ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশের চোখে অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন ছত্রধর মাহাত।
advertisement
২০০৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক বেশে ছত্রধরকে গ্রেফতার করে সিআইডি৷ ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের হয়৷ ২০১৫ সালের মে মাসে ছত্রধরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় মেদিনীপুর আদালত৷ রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ্য হন ছত্রধর৷ এরপর টানা ৪ বছর শুনানি৷ গতবছর অগাস্টে ছত্রধরের কারাবাসের মেয়াদ কমিয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্টের বিচারপতিরা৷ কিন্তু ঘাটশিলার ইউএপিএ মামলার জন্য আটকে ছিল জেলমুক্তি৷ এবার সেই মামলাতেও জামিন পেয়ে গেলেন৷ এবার লালগড়ে ফিরে নতুন রাজনৈতিক ইনিংস শুরুর অপেক্ষায় ছত্রধর মাহাত৷