রাজধানী আটক মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল বিশেষ এনআইএ আদালত। ছত্রধরের আবেদন খারিজ হতেই তাঁকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে ফিরতে হয়। ৮ জুলাই অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষে বিশেষ এনআইএ আদালতে যখন হাজিরা দিয়েছিলেন ছত্রধর মাহাতো, তখন অসুস্থ ছিলেন তিনি, এমনই দাবি করা হয়েছিল তাঁর আইনজীবীর তরফে। জামিন না মিললেও ওইদিন এনআইএ- এর বিশেষ আদালতের বিচারক ভিডিও কনফারেন্স-এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপারকে ছত্রধর মাহাতোর চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা করতে বলেন।
advertisement
সংশোধনাগার সূত্রে খবর, ওইদিন রাতেই এসএসকেএম-এ পাঠানো হয় ছত্রধরকে। সেখানে তাঁর কোভিড পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট পজেটিভ আসার পর তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। সূত্রের খবর, এই মর্মেই ছত্রধর মাহাতোর শারীরিক অবস্থা নিয়ে আদালতের কাছে রিপোর্ট পাঠাতে চলেছে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। আদালতের তরফে ছত্রধরের শারীরিক অবস্থা কেমন থাকছে, তা রিপোর্ট আকারে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত ছেলের বিয়ের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন ছত্রধর মাহাতো। ২ জুলাই থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছিলেন তিনি। জামিনে মুক্তি পেয়ে দিন কয়েকের জন্য নিজের গ্রামের বাড়ি ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন ছত্রধর। সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন, ৭ জুলাই শ্বাসকষ্ট নিয়ে প্রথমে যান ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে । সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে ৮ তারিখ তিনি সরাসরি চলে আসেন কলকাতার এনআইএ-র বিশেষ আদালতে। তাঁর আইনজীবীর তরফে আদালতে অসুস্থতার কথা জানানো হয়। তারপরই বিচারক প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষকে সত্য ধরে শারীরিক অবস্থা পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট দিতে বলেছিলেন।
উল্লেখ, ২০২১ সালের ২৭ শে মার্চ রাতে লালগড় থানা এলাকার তার বাড়ি থেকে দুটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ছত্রধরকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। একটি খুনের মামলায় জামিন পেলে ও বাঁশতলা রাজধানী আটক মামলায় মেলেনি জামিন।
Amit Sarkar