সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে তারপরেও বেশ কয়েকবছর কড়া ভূমিকায় জাতীয় সরোবর রক্ষা করতে দেখা গেছে প্রশাসনকে। এ বছরেও সরোবরের ১২টি গেট বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে কে এম ডি এ (KMDA)।
আরও পড়ুন: এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে এবার তৈরি হচ্ছে প্রথম তিন বেডের আইসিইউ
আগামীকাল এবং পরশু সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে সরোবর। সেই কথা উল্লেখ করে রবীন্দ্র সরোবরের পরিবর্তে শহরের কোন কোন ঘাটে ছট পুজো করা যাবে, তার তালিকাও টাঙিয়ে দেওয়া হবে সরোবরের গেটে।
advertisement
২০১৯ সালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই ব্যারিকেড ভেঙে রবীন্দ্র সরোবরে করা হয়েছিল ছট পুজো। পুজো শেষ হওয়ার পরের দিনই দেখা যায়, ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে রবীন্দ্র সরোবরের জলের। পুজো শেষ হওয়ার অন্তত ১০ ঘণ্টা পরে জলের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করেছিলেন পরিবেশবিজ্ঞানীরা।
তাঁরা দেখেন, জলে অক্সিজেনের মাত্রা শুধু তলানিতে পৌঁছেছে তাই নয়, পাশাপশি তেল ও দূষিত গ্যাসের মাত্রা অনেকটাই বেড়েছে। সেই বছরেই রবীন্দ্র সরোবরের জলে অনেক প্রজাতির মাছ এবং বেশ কিছু কচ্ছপ মারা যায় শুধুমাত্র দূষণের কারণে।
এই ঘটনার পর বেশ কয়েক বছর কড়াকড়ি বেড়েছে রবীন্দ্র সরোবরে। এবছর ও ছুটির আগাম প্রস্তুতি হিসেবে একদিকে যেমন শহরে কৃত্রিম জলাশয় নির্মাণের কাজ চালাচ্ছে প্রশাসন, ঠিক তার পাশাপশি কড়াকড়ির ছবি দেখা গেলো রবীন্দ্র সরোবরকে ঘিরে।
শুধুমাত্র রবীন্দ্র সরোবরে ব্যারিকেড করাই নয়, আগামীকাল থেকে প্রতিটি গেটে পর্যাপ্ত পুলিশি প্রহরাও রাখা হবে। প্রশাসনের এই তৎপরতাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পরিবেশবিদরাও। জাতীয় সরোবরের তালিকা ভুক্ত রবীন্দ্র সরোবরকে রক্ষা করার স্বার্থে প্রত্যেকেরই সচেতনতা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।