ডিসি এসইডি সুদীপ সরকার আসেন। রবীন্দ্র সরোবরের প্রতি গেটে মোতায়েন পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতি গেটে মোতায়েন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার। রবীন্দ্র সরোবরে মোট ১২টি গেটে প্রায় ১৫ জন করে পুলিশ মোতায়েন। প্রায় মোট শ-দুয়েক পুলিশ কর্মী মোতায়েন। রবীন্দ্র সরোবরে জাতীয় বাংলা সম্মেলনের পক্ষ থেকে প্রতি গেটে পোস্টার দেওয়া হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, কোর্ট রায় আমান্য করে ছট পুজোর নামে লেক দূষণ করা যাবে না। রবীন্দ্র সরোবরে প্রতি গেটে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরা হয়েছে। ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল পক্ষ থেকে রবীন্দ্র সরোবরে দূষণ করা যাবে না কোনও অনুষ্ঠান উপলক্ষে।
advertisement
আরও পড়ুন - নদী বা পুকুর ধারে নয়! করোনার কথা মাথায় রেখে ছট পুজো হল একেবারে অভিনব কায়দায়
ছট পুজোর জন্য অস্থায়ী তেরোটি ঘাটের তালিকাও দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ কলকাতা এলাকায়। সকাল থেকে পুলিশের কড়া নজরদারি ছিল। অ্যানাউন্সমেন্ট ব্যবস্থা ছিল। যাতে কেউ ছট পুজো (Chhath Puja) উপলক্ষে রবীন্দ্র সরোবরে লেকের গেট ভেদ করে ভিতরে না যেতে পারে তার জন্য বিশেষ ভাবে পুলিশ মোতায়েন ছিল। ডিসি এসইডি সুদীপ সরকার জানান, "আমরা সমস্ত রকম ভাবে প্রস্তুত। বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদি কোনও অপ্রীতিকর ব্যবস্থা তৈরি করার কেউ চেষ্টা করে তাহলে আমরা কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রস্তুত। অ্যানাউন্সমেন্টের ব্যবস্থাও রয়েছে।"
আরও পড়ুন- টালা ব্রিজের কাজ চলছে জোর কদমে! আগামী বছর কখন খুলছে নতুন সেতু
২০১৯ সালে ছট (Chhath Puja) উপলক্ষে রবীন্দ্র সরোবরে নিষেধ থাকা সত্ত্বেও তালা ভেঙে তাণ্ডব চালানো হয়। লেকের জল দূষণ করা হয়। এরপর থেকেই পরিবেশবিদরা তীব্র প্রতিবাদ করেন। তবে এ বছর পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত জানান," পুলিশের ব্যবস্থা দেখে আমরা সন্তুষ্ট। তবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কী অবস্থা হয় সেটা দেখার পর বোঝা যাবে।" পুলিশের পাশাপাশি মঙ্গলবার রাত থেকেই পরিবেশবিদরা প্রতি গেট গুলিতে পাহারা দিয়েছেন। রবীন্দ্র সরোবর দক্ষিণ কলকাতার "ফুসফুস"। আর সেই ফুসফুসকে রক্ষা করা প্রাকৃতিক ভারসাম্যকে রক্ষা সাধারণ মানুষের কর্তব্য।
Arpita Hazra