সূত্রের খবর, বিধাননগর কমিশনারেটে সিটের চার জন আইপিএস আধিকারিক—পীযূষ পান্ডে, সুপ্রতিম সরকার, জাভেদ শামীম এবং মুরলিধর শর্মা—যৌথভাবে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তদন্তকারীরা মূলত ইভেন্ট পরিচালনা, পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রশ্ন করেন। কোন পর্যায়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, কার সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল এবং সেই সিদ্ধান্তগুলির বাস্তবায়ন কীভাবে করা হয়েছিল—এই সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখার জন্যই দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চলে বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
তদন্তকারীরা জানতে চান, গোটা ইভেন্ট আয়োজন নিয়ে কার কার সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল এবং পুলিশের সঙ্গে কী কী বৈঠক হয়েছিল। পাশাপাশি ডিসি অনীশ সরকারের সঙ্গে সময়সূচি সংক্রান্ত কোনও আলোচনা হয়েছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হয়।
একাধিক ইভেন্টে নির্ধারিত সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছিল। সেই পরিবর্তন কার নির্দেশে এবং কেন করা হয়েছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। একই সঙ্গে মেসি যখন মাঠে প্রবেশ করবেন, সেই সময়ের জন্য যে নির্দিষ্ট তালিকা তৈরি করা হয়েছিল, তার বাইরে অতিরিক্ত এত মানুষ কী ভাবে মাঠে ঢুকে পড়ে এবং কার নির্দেশে তা সম্ভব হয়, তা জানতে চান তদন্তকারীরা।
ফটোগ্রাফারদের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা নির্ধারিত থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁরা মাঠের ভেতরে ঢুকে পড়েছিলেন এবং সেই সিদ্ধান্ত কার নির্দেশে নেওয়া হয়েছিল, তাও জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আসে। আধিকারিকরা জানান, এর আগে যে সমস্ত জিজ্ঞাসাবাদে শতদ্রু ঘোষ বয়ান দিয়েছিলেন, সেই সমস্ত তথ্য মিলিয়ে নতুন করে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছে।
তদন্তে আরও উঠে আসে, মুখ্যমন্ত্রী আসার আগেই মেসিকে মাঠে নামানোর পরিকল্পনা কার নির্দেশে করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী আসার আগেই মেসিকে মাঠে নামানোর প্রয়োজন কেন দেখা দিয়েছিল এবং সেই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কারা ছিলেন, তা জানার চেষ্টা চলছে।
এছাড়াও প্রশ্ন তোলা হয়েছে, মেসির মতো একজন আন্তর্জাতিক স্তরের ফুটবলারের উপস্থিতিতে মাঠে অতিরিক্ত মানুষ ঢুকলে বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে—এই সম্ভাবনা জানা সত্ত্বেও কেন মাঠে ভিড় বাড়ানো হল। সমস্ত ঝুঁকি সম্পর্কে অবগত থাকা সত্ত্বেও কেন এমন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, তার উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন সিটের তদন্তকারী আধিকারিকরা।
