বিজেপি-কে আক্রমণ করে তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা সভাপতি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘অমিত মালব্য বিজেপির আইটি সেলে ‘ধর্ষক’দের নিয়োগ করেছেন এবং তাদের পূর্ণ সমর্থন করছেন; তবুও শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার রাজ্যের কো-ইনচার্জের এই পদক্ষেপ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।”
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, দলের মহিলা শাখা শীঘ্রই বিজেপির বিরুদ্ধে রাজ্যব্যাপী সচেতনতা অভিযান শুরু করবে এবং সাধারণ মানুষকে জানাবে কীভাবে বিজেপি ধর্ষকদের সমর্থন করছে।
advertisement
বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে, তৃণমূল কংগ্রেস বাংলার বিজেপি নেতাদের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে – যেমন সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারীর। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “আসলে তারা আইআইটি-বিএইচিউতে গণধর্ষণ মামলায় তিনজন বিজেপি আইটি সেল সদস্যকে নিয়োগের সত্যটিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য অমিত মালব্যকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে।’’
উল্লেখযোগ্যভাবে, অমিত মালব্য বিজেপির আইটি সেলের নেতৃত্ব দেন এবং এর নিয়োগ প্রক্রিয়া তিনি দেখেন। বিজেপি নেতৃত্বাধীন গুজরাট সরকার বিলকিস বানো ধর্ষণ মামলায় ১১ জন দোষীকে দেওয়া জামিন বাতিল করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের বিষয়ে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপির নেতাদের নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।
সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা শাখার সভাপতি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য কর্মসূচির ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, “আজ, আমরা ঘোষণা করতে চাই যে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এর বিরুদ্ধে লড়াই করব। আমরা অতীতের মতো নির্যাতিত মহিলাদের পাশে দাঁড়াব। নারীবিরোধী বিজেপির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।”
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আরও বলেছেন, “অমিত মালব্য তার আইটি সেলে কাজ করার জন্য ধর্ষকদের নিয়োগ করেছিলেন৷ এটিই বিজেপির সংস্কৃতি৷ তবে, এই রীতি বাংলায় চলবে না, কারণ আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বদা নির্যাতিত মহিলাদের অধিকারের জন্য লড়াই করে চলেছেন৷’’
তিনি বলেন, ‘‘কিন্তু, অমিত মালব্য কেন এই বিষয়ে নীরব? শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদার কি ধর্ষকদের সমর্থন করেন? অমিত মালব্যকে বিজেপি থেকে সরানো উচিত ছিল। অমিত মালব্যের নীরবতা তাদের দোষকেই প্রমাণ করে এবং মানুষের সামনে তুলে ধরে যে, বিজেপির প্রতিটি কোণা ধর্ষণের মতো ঘটনাকে সমর্থন করে।”