একইসঙ্গে সিইএসসি জানিয়েছে, যাঁরা ইতিমধ্যেই জুনের বিল মিটিয়ে দিয়েছেন তাদের পরবর্তী বিলে অ্যাডজাস্টমেন্ট করে দেওয়া হবে ৷ অন্যদিকে গ্রাহকদের কথা ভেবেই সংস্থা আপাতত তিন মাসের বিলের অনাদায়ী অংশ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷ যদিও বাড়তি বিলের ব্যাখায় সংস্থার এমডি দেবাশিষ বন্দোপাধ্যায় বলেছেন, লকডাউনে মিটার রিডিং করা যায়নি ৷ গড়ে বিল পাঠানোয় অনেক কম বিল এসেছিল ৷ জুনে মিটার রিডিং করার পর এক সঙ্গে চার মাসের ইউনিট হিসেব করে বিল দিয়েছিল সংস্থা। তার জন্যই সকলের ক্ষেত্রেই বড় অঙ্কের বিল হয়েছে।" উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ধরা যাক কারোর ১০০০ ইউনিট বিল হয়েছে। তার থেকে চার মাসের গড় হিসেবে এক মাসের ইউনিট দাঁড়াচ্ছে ২৫০। জুনের ইউনিটের ২৫০ বাদ দিলে থাকছে ৭৫০ ইউনিট ৷ এবার বাকি তিন মাসে ইতিমধ্যে যদি সিইএসসি-এর তরফে যদি ১০০ টাকা করে ৩০০ টাকা বিল এসে থাকে, তাহলে তা ৭৫০ ইউনিট থেকে বাদ যাবে ৷ সেই হিসেব অনুযায়ী ৭৫০ থেকে ৩০০ ইউনিট বাদ যাওয়ার পর থাকছে ৪৫০ ইউনিট ৷ সেটাই ওই তিন মাসের বিলের অনাদায়ী অংশ ৷ গ্রাহকের ব্যবহার অনুযায়ী এই অনাদায়ী ইউনিটের বিল তৈরি করেছিল সিইএসসি ৷ সেই অ্যামাউন্ট আদায় আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত ৷ অর্থাৎ জুন মাসের গড় ইউনিট অনুযায়ীই বিল নেবে বেসরকারি বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা CESC ৷
advertisement
কলকাতা ও শহরতলি মিলিয়ে সিইএসসি-র মোট গ্রাহক সংখ্যা ২৫ লক্ষ৷ উল্লেখ্য, একফালি ঘরের বাসিন্দা থেকে অট্টলিকা নিবাসী, সাধারণ মানুষ থেকে সেলেব বিদ্যুৎ বিলের ছেঁকা থেকে রেহাই পাননি কেউই ৷ এমনকী দেবদেবীর মন্দিরেও ৬০০ টাকার বিলের জায়গায় এসেছে লাখ টাকার বিল এমন ঘটনাও আছে ৷ সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিক্ষোভ প্রতিবাদে সামিল হন রাজ্যের মন্ত্রীরাও ৷ আপাতত মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসের বিলের অনাদায়ী অংশের টাকা নেওয়া স্থগিত রাখল বেসরকারি বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা সিইএসসি ৷