এই ঘটনা সম্পর্কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেছেন, “গণতন্ত্রের ওপর কোনও বিশ্বাস নেই বাংলার সরকারের। বাংলার বিধানসভায় আজ গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। এই রাজ্যেই এক সময় পঞ্চায়েত ভোটে ফলাফল প্রকাশের দিন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিরোধী প্রতিনিধিকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছিল। এরা কোনও নিয়মের তোয়াক্কা করে না। এটা সন্ত্রাস ছড়ানোর সরকার, এটা হিন্দু-বিরোধী সরকার। এরা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জন্য বাংলার রাস্তায় কার্পেট বিছিয়ে রাখে।”
advertisement
আরও পড়ুন: নৌকোর মধ্যে ধর্ষণ…ভিডিও দেখিয়ে বার বার টাকা! প্রিন্সেপ ঘাট কাণ্ডে বিরাট অভিযোগ
বাংলা ও বাঙালি প্রসঙ্গে আলোচনা নিয়ে উত্তপ্ত হয় বিধানসভা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখার সময় বিজেপি বিধায়করা প্রতিবাদ করতে শুরু করেন। তাঁদের মুখে শোনা যায় ‘ওয়ান, টু, থ্রি, ফোর-তৃণমূলের সবাই চোর’। এই শ্লোগান শুনেই রেগে যায় খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তিনিও পাল্টা বলে দেন ‘ওয়ান, টু, থ্রি, ফোর-বিজেপি সবথেকে বড় চোর’। এরপরেই বিধানসভায় তুমুল হই হট্টোগোল শুরু হয়। বিজেপি বিধায়করা ওয়ালে নেমে প্রতিবাদ করেন।
এরমধ্যেই শঙ্কর ঘোষ, বঙ্কিম ঘোষ, অশোক দিন্দাদের সাসপেন্ড করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেও তাঁরা না সরলে মার্শালরা বিধায়কদের তুলে নিয়ে বাইরে বের করে দেয়। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী গিরিরাজ সিং বৃহস্পতিবার কলকাতার ইস্টার্ন জোনাল কালচারাল সেন্টারে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজি এনআইএফটি-এর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ বলেন, ভারতের বস্ত্র বাজার বর্তমানে ১৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ৩৫০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে, যার ফলে আনুমানিক ৩.৫ কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।