শুক্রবার রাতেই কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছন ৫ সদস্যের কমিটির সদস্যরা। জলকামান, পুলিশের লাঠিচার্জ। মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযানে এভাবেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গঙ্গার দুই পাড়। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশ তাদের কর্মী-সমর্থকদের উপর রীতিমতো অত্যাচার চালিয়েছে। ওই দিন বিকেলে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তারপরেই ৫ সদস্যের অনুসন্ধান টিম তৈরি করে দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
advertisement
আরও পড়ুনঃ আর্থিক সঙ্কটে কাটছে দিন, পর্দার প্রথম মহিষাসুরের দিকে সাহায্যের হাত বাড়ালেন সায়নী
রাজ্যে এসে এই টিম সংঘর্ষস্থল ঘুরে দেখবে, কথা বলবে আহত বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে। বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গেও বৈঠক করতে পারে।দিল্লি ফিরে গিয়ে অনুসন্ধান রিপোর্ট জমা দেবে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে। বিজেপির এই অনুসন্ধান টিমে রয়েছেন সাংসদ ব্রজলাল, সাংসদ রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর, সাংসদ অপরাজিতা ষড়ঙ্গি, সমীর ওরাওঁ এবং বিজেপি নেতা সুনীল জাখর।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বকর্মা পুজোর সকালেই দুর্যোগের শুরু, নতুন ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে জেলায় জেলায় প্রকৃতির তাণ্ডব
মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযানে তপ্ত হয় পরিস্থিতি। পুলিশের গাড়িও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। আন্দোলনকারীরা বেধড়ক মারধর করে অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে বলেও অভিযোগ। তদন্তে নেমে এই ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত কড়েয়ার বিকাশ ঘোষ। দমদমের রাজকুমার মাইতি এবং দত্তপুকুরের রাজা বিশ্বাস পুলিশের জালে। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে, বিকাশ এবং রাজকুমার, মাথা মুড়িয়ে ফেলেন। গোঁফ উড়িয়ে দেন। কিন্তু, এত কিছু করেও লাভ হয়নি। এরই মধ্যে রাজ্যে এসে পৌঁছয় বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি।
আজ, শনিবার সেই কমিটি আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করবে নবান্ন অভিযানের দিন ঠিক হয়েছিল। তারপরে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করে সেই রিপোর্ট তুলে দেওয়া হবে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার হাতে।
VENKATESWAR LAHIRI