গত ২১ অগাস্ট, ২০১৫ প্রেসিডেন্সির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উষ্ণ অভ্যর্থনার ঠিক উল্টো দৃশ্য দেখা যায় প্রেসিডেন্সির বাইরে ৷ উপাচার্যকে ঘেরাও করে তুমুল বিক্ষোভ
দেখায় ছাত্রছাত্রীরা ৷
বছর খানেক আগের সেই বিতর্কের কালি মুছতে এবার অভিনব পদক্ষেপ প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষের। ২০১৭ সালেই প্রেসিডেন্সির ২০০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। ৬ জানুয়ারির অনুষ্ঠানেও প্রধান অতিথি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিক্ষোভ-বিতর্ক এড়াতে এবার ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে প্রিন্সেপ ঘাটে পালিত হবে দুশো বছর পূর্তির অনুষ্ঠান। যদিও, বিতর্ক এড়ানোর জন্য এই আয়োজন বলে মানতে নারাজ প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ।
advertisement
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া জানান, ‘কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে গাড়ি রাখার সমস্যা ৷ তাই ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠান না হওয়ার সঙ্গে ক্যাম্পাসে অশান্তির কোনও সম্পর্ক নেই ৷ ক্যাম্পাসে কোনও অশান্তি নেই ৷ কিন্তু কখন ক্যাম্পাস শান্ত থাকবে, কখন অশান্ত থাকবে ৷ সেটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় না ৷’
প্রেসিডেন্সির উপাচার্য আরও জানালেন, ২০০ বছর উদযাপনে ১০ কোটি ও প্রেসিডেন্সির ভবন সংস্কারে ৫০ কোটি টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার ৷
২০ জানুয়ারি, প্রেসিডেন্সির প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। সেই অনুষ্ঠানের আয়োজন অবশ্য ক্যাম্পাসেই করা হয়েছে ৷