সোমবার সকালে টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, 'সিবিএসই পরীক্ষাগুলো হোমসেন্টারেই নেওয়া হবে। আগে সিবিএসই পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল ৩০০০ টি। এখন তা বাড়িয়ে করা হচ্ছে ১৫ হাজার। যদিও পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো কী ভাবে পরীক্ষা নেবে তা ঠিক করার জন্য টাস্কফোর্স খুব শিগগিরই তাদের সুপারিশ দেবে স্কুলগুলিকে।'
ইতিমধ্যেই দেশব্যাপী সিবিএসই-র দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা কবে নেওয়া হবে তার সূচি প্রকাশ করেছে সিবিএসই বোর্ড। পয়লা জুলাই থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত নেওয়া হবে সিবিএসই-র দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা। পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একাধিক গাইডলাইনও দিয়েছে সিবিএসই বোর্ড। মাস্ক বা ফেস কভার পরা বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে আসাও ছাত্র-ছাত্রীদের বাধ্যতামূলক করেছে পরীক্ষার দিনগুলিতে সিবিএসই বোর্ড।
তবে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে যাতে কোনও ভাবেই সামাজিক দূরত্বের বিধি লঙ্ঘিত না হয় তার জন্য নির্দিষ্ট গাইডলাইন পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির জন্য করা হচ্ছে বলে সিবিএসই বোর্ড সূত্রে জানা গেছে। বোর্ড সূত্রে খবর, স্কুলগুলোকে সানিটাইজ করার পাশাপাশি যাতে একটি ছাত্রের সঙ্গে অন্য একটি ছাত্রের দূরত্ব বজায় থাকে তা মাথায় রেখেই যাতে পরীক্ষার্থীদের আসন ঠিক করা হয় সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় গাইডলাইন পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোকে দিতে চলেছে সিবিএসই বোর্ড।
অন্যদিকে, একই ভাবে যাতে সর্বভারতীয় মেডিকেল প্রবেশিকা পরীক্ষা বা নিট এবং JEE মেইন পরীক্ষা নেওয়া হয় সেই বিষয়েও তৎপরতা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। সেই পরীক্ষাগুলি কী ভাবে নেওয়া হবে সেই বিষয়েও গাইডলাইন তৈরির জন্য ইতিমধ্যেই একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক।
তবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের জেরে সিবিএসই-র বাকি পরীক্ষাগুলির ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের অন্য স্কুলে গিয়ে আর পরীক্ষা দিতে হবে না সোমবার তা জানানোর পর অনেকটাই স্বস্তিতে সিবিএসই বোর্ড অনুমোদিত স্কুলগুলি। স্কুলগুলির মতে এক্ষেত্রে পরীক্ষা পরিচালনা অনেকটাই সহজ হবে কারণ কোনও ছাত্র বা ছাত্রী যদি অসুস্থ হয় বা জ্বর আসে তা সহজেই জেনে নেওয়া সম্ভব। শুধু তাই নয় প্রতিনিয়ত স্কুলগুলোর সঙ্গে অভিভাবকদের যোগাযোগ থাকার ফলে কোনও অসুবিধা হলেই তা তৎক্ষণাৎ জেনে নেওয়া সম্ভব বলে মনে করছে স্কুলগুলো। এর পাশাপাশি যেহেতু ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগের জায়গা থাকছে স্কুলগুলোর সেই জন্য সরি পরীক্ষা পরিচালনার ক্ষেত্রে কী কী করছেন তা সহজেই অভিভাবকদের বোঝানো সম্ভব। স্কুলগুলির মতে হোম সেন্টারে পরীক্ষা হওয়ার জন্য পরীক্ষা পরিচালনা অনেকটাই সহজ হবে এই করোনা আবহে।
SOMRAJ BANDOPADHYAY
