বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এদিন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী কিশোর দত্তের উদ্দেশ্যে বলেন, ''এর আগে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় আমি প্রশ্ন তুলেছিলাম, সিবিআই কেন অনুব্রতকে দুর্গাপুরে ডাকছে? কেন নিজাম প্যালেসে ডাকছেনা?বারবার আদালত এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে সিবিআইয়ের হাত বেঁধে দেবে কেন? তদন্তের কী প্রয়োজন, তা কোর্ট কোন ভাবেই জানেনা। কোর্ট প্রাথমিক মতামত হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডল নিজাম প্যালেসে গিয়ে সিবিআই-এর মুখোমুখি হোক।''
advertisement
আরও পড়ুন: 'অখিলেশের হারে দায় মমতার!' কীভাবে? 'দোকান বন্ধের' ব্যাখ্যা দিলেন দিলীপ ঘোষ
শুধু তাই নয়, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এদিন আরও বলেন, ''তদন্তে সিবিআই কী চাইছে অনুব্রত মণ্ডলের কাছ থেকে, তা তো আদালতও জানে না। অনুব্রত মণ্ডল যখন চাইছেই সিবিআইকে তদন্তে সহযোগিতা করতে, তাহলে নিজাম প্যালেসে গিয়ে দেখা করছে না কেন?'' সিবিআই-এর তরফে অবশ্য অভিযোগ করা হয়, ''অনুব্রত মণ্ডল শারীরিক অসুস্থতার অভিযোগ ছুতো। তিনি স্বচ্ছ ভাবমূর্তির ব্যক্তি নন। তিনি হাওড়ার জনসভায় যোগ দিছেন। তিনি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছেন। ফেসবুক অ্যাকাউন্টের ছবি সেই প্রমাণ দিচ্ছে। শুধু সিবিআই ডাকলেই অসুস্থতাকে ঢাল করছেন।''
আরও পড়ুন: মাদককাণ্ডে নাম জড়ানো পামেলাকে বড় দায়িত্ব বিজেপি-র! দিলীপ ঘোষ যা বললেন...
যদিও হাই কোর্টের তরফে সিবিআই-কে বলা হয়, ''ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব?'' তার উত্তরে সিবিআই জানিয়ে দেয়,''ভার্চুয়ালি সিবিআই-এর পক্ষে গরুপাচারের তদন্ত করা সম্ভব নয়। অনুব্রত মণ্ডল স্বচ্ছ ভাবমূর্তির ব্যক্তি নয়(Not clean hand person) এটাও যেন আদালত তার বিবেচনায় রাখে। অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক অসুস্থতার জন্য তৈরি মেডিকেল বোর্ড সন্দেহজনক। কোনও আদালতের নির্দেশ ছাড়া বা বিশেষ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া মেডিকেল বোর্ডের গুরুত্ব নেই। সিবিআই তদন্ত থেকে আড়াল হতেই এমন বোর্ডের ছুতো।''
তবে, অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী তাঁর মক্কেলের গ্রেফতার বা সিবিআই-এর একতরফা তদন্তের আশঙ্কার সঙ্গে সহমত নয় হাইকোর্ট। সেই কারণেই বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকেরক্ষাকবচ দিল না হাইকোর্ট। ফলে গরুপাচার মামলায় বিপাকে পড়লেন অনুব্রত মণ্ডল।রক্ষাকবচের আবেদন ফিরিয়ে দিয়ে আগাম জামিনের রক্ষাকবচের পরামর্শ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।