হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চেই নারদ মামলা স্থানান্তর নিয়ে শুনানি হবে। ইতিমধ্যেই আদালতে সিবিআই দাবি করেছেন, দলের নেতাদের গ্রেফতারের পর স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত নিজাম প্যালেসে চলে এসেছিলেন। রাজ্যজুড়ে বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল নেতাদের গ্রেফাতারির পরই। এই কারণ দেখিয়ে এই রাজ্যে তদন্ত চালানো সম্ভব না দাবি করে মামলা সরানোর জন্য আবেদন করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ অবশ্য সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছিল। কিন্তু এরপর সিবিআই হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের কাছেও সেই আবেদন করে। সেই মামলারই শুনানি হবে আজ।
advertisement
প্রসঙ্গত, সিবিআইয়ের হয়ে সওয়াল করবেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। অভিযুক্তদের হয়ে লড়ছেন কংগ্রেস সাংসদ তথা আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। এর আগে ফিরহাদ হাকিমদের জামিনের বিরোধিতা করতে গিয়েও তুষার মেহেতা বারবার মামলা সরানোর 'প্রয়োজনীয়তাও' তুলে ধরেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য নেতাদের নিজাম প্যালেস যাওয়ার প্রসঙ্গটিকেও বেনজির বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
গত ২২ মে নারদ মামলায় সিবিআই আধিকারিকরা চার হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেফতার করে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়ার পরই তাঁদের মুক্তি দেওয়ার দাবি তুলে করোনা বিধি ভেঙেই নিজাম প্যালেসের সামনে জড়ো হন অগণিত তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে বিতণ্ডাতেও জড়িয়ে পড়ে তাঁরা। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সিবিআই দফতরে গিয়ে প্রায় ৬ ঘণ্টা ছিলেন। সেই বিষয়গুলি আজ ফের তুলে ধরে মামলা ভিনরাজ্যে সরানোর দাবি জানাবে সিবিআই।