অনুব্রত মণ্ডল এখনও তদন্ততে সহযোগিতা করেননি বলে দাবি সিবিআই-এর। সেক্ষেত্রে বেনামি সম্পত্তির আয়ের উৎস জানাই এখন সিবিআই-এর কাছে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রসঙ্গত, গতকাল দীর্ঘ সওয়াল জবাব শেষেও জামিন পাননি অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রতর আইনজীবী তাঁর মক্কেলের শারীরিক অবস্থার দোহাই দিয়ে জামিনের আবেদন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: বৈদিক ভিলেজে বঙ্গ বিজেপির পাঠশালা, শিক্ষা দিতে আসছেন 'মাস্টারমশাই'!
advertisement
তবে সিবিআই আইনজীবী দাবি করেন, অনুব্রত মণ্ডল প্রভাবশালী। তিনি বাইরে থাকা মানে তদন্তে প্রভাব পড়বে। অনুব্রতর পরিবারের লোকজনের নামেও প্রচুর সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে। এরপরই অনুব্রতকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মারাত্মক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ, আদালতে যাচ্ছে বিজেপি! তোলপাড় বাংলা
অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ এবং তাঁর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ব্যক্তিদের বাড়িতে হানা চলছে গোয়েন্দাদের। অনুব্রত ও তাঁর কন্যা সুকন্যার ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎ বরণ গায়েনের তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল সিবিআই আধিকারিকেরা। বুধবার কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে অনুব্রত ও সুকন্যা ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎ বরণ গায়েনকে আটক করে সিবিআই আধিকারিকেরা।
কে এই বিদ্যুৎ বরণ গায়েন? দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানার ভবানী মারি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন বিদ্যুৎ বরণ গায়েন। বিদ্যুৎ বরণ গায়নের বাবা পঞ্চানন গায়েন বোলপুরের স্বাস্থ্য দফতরের চাকরি করতেন। বাবার চাকরির সূত্রের দৌলতে বিদ্যুতের বোলপুরে যাতায়াত লেগেই থাকত। কয়েক বছর আগে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বিদ্যুৎ বরণ গায়েনের দাদা তপন গায়েন। ২৫ বছর আগে চাকরি সূত্রে বীরভূমে সপরিবারে চলে গিয়েছিল বিদ্যুৎ বরণ গায়েন। বিদ্যুতের বরাবরই নিজের জন্ম ভিটের উপর টান রয়ে গিয়েছিল বীরভূমে থাকলেও নিজের জয়নগরের বাড়িটিকে নতুনভাবে সাজিয়েছিলেন। গত ছয় মাস আগেই সপরিবারে জয়নগরে এসেছিল বিদ্যুৎ বরণ গায়েন।