আরও পড়ুন: #Breaking: ভোররাতে নিউটাউনের সাপুরজি মার্কেটে বিধ্বংসী আগুন, পুড়ে ছাই ২০-২৫টি দোকান
মেঘালয়ের শিলং। শেষের কবিতার শহরেই বাড়বে উত্তাপ। সেখানেই মুখোমুখি বসবে সিবিআই ও কলকাতার পুলিশ কমিশনার। তার আগে দুপক্ষেরই চূড়ান্ত তোড়জোড়। সিবিআই যেমন প্রশ্নবাণ তৈরি করছে, তেমনই জবাব দিতে তৈরি লালবাজারও। চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে রাজ্য সরকারের গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের কার্যকরী প্রধান ছিলেন রাজীব কুমার। তাঁকে সিবিআই আধিকারিকরা জিজ্ঞাসা করতে পারেন,
advertisement
প্রশ্ন - ১
হার্ড ডিস্ক, ল্যাপটপ, পেন ড্রাইভ কোথায়?
জবাবে রাজীব কুমার বলতে পারেন, সারদার মালিক সুদীপ্ত সেনকে জম্মু-কাশ্মীরে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেখানকার পুলিশকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করুন।
প্রশ্ন - ২
সিবিআই জানতে চাইতে পারে, ফরেনসিক পরীক্ষা না করেই কেন ফোন-ল্যাপটপ অভিযুক্তদের ফেরত দেওয়া হয়েছিল?
এর জবাবে কলকাতার পুলশ কমিশনার দাবি করতে পারেন, ফোনের কথোপকথনে বা ল্যাপটপে এমন কোনও তথ্য ছিল না যার ফরেনসিক পরীক্ষার দরকার। সাধারণ মানুষের থেকে টাকা নিয়ে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে তদন্ত হচ্ছিল। সেই তদন্তে নথি বাজেয়াপ্ত করে সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন - ৩
সিবিআই প্রশ্ন করতে পারে, ২০১৪ সালের ৪ জানুয়ারি, দুর্গাপুর থানায় রোজভ্যালির বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। এই মামলার কথা কেন গোপন করা হয়েছিল?
পালটা জবাবে সিপি দাবি করতে পারেন, ওই মামলা সংক্রান্ত বিশেষ কোনও তথ্য জানা ছিল না। তাছাড়া, ওই মামলা সরাসরি সংস্থার বিরুদ্ধে হয়নি। হয়েছিল এক এজেন্টের বিরুদ্ধে।
প্রশ্ন - ৪
সিবিআই প্রশ্ন করতে পারে, কল ডিটেল রেকর্ড কেন বিকৃত করা হয়েছে?
অভিযোগ উড়িয়ে সিপি পালটা বলতে পারেন, সিডিআর বিকৃত করার প্রশ্নই নেই। কারণ মোবাইল ফোনের পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার থেকে যে কোনও তদন্তকারী সংস্থাই কল ডিটেল রেকর্ড জোগাড় করতে পারে। আপনারা যেমন করেছেন।
প্রশ্ন - ৫
সিবিআই জানতে চাইতে পারে, সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন এবং দেবযানী মুখোপাধ্যায় এমন কিছু তথ্য দেন যার ভিত্তিতে বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়। সে সব নথি কোথায়?
জবাবে রাজীব কুমার দাবি করতে পারেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো সিজার লিস্ট মেনেই সিবিআইকে যাবতীয় নথি দেওয়া হয়েছে। সিপি পাল্টা এই প্রশ্নও তুলতে পারেন, এমন কোনও বয়ান কি পেয়েছেন যেখানে দাবি করা হয়েছে, সাক্ষীর থেকে নথি বাজেয়াপ্ত করেও তা সিবিআইকে দেওয়া হয়নি?
আরও পড়ুন: একজন নির্দোষকে রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য হেনস্থা করা হচ্ছে, জানালেন রবার্ট ভঢ়রার আইনজীবী
বুধবার দিল্লিতে চার-পাঁচ ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন সিবিআই আধিকারিকরা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে গ্রেফতারি তো করা যাবেই না। তাঁর উপর জোরও খাটানো যাবে না। জোর না খাটিয়েও রাজীব কুমারকে কীভাবে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করা যায়, সেই কৌশলেরই খোঁজ করছে সিবিআই। নিচ্ছে আইনি পরামর্শ। ইতিমধ্যেই, সিবিআইয়ের সঙ্গে আগামী শুক্রবার দেখা করতে চেয়েছেন সিপি। সে দিনটিকেই গুরুত্ব দেওয়া হবে না কি সিবিআই অন্য কোনও তারিখের কথা বলবে, প্রয়োজনে কি একাধিকবার সিপিকে ডাকা যেতে পারে? এ সব নিয়েও এ দিন আইনি পরামর্শ নেন সিবিআই আধিকারিকরা।