তারপরে বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে মদন মিত্রের দক্ষিণেশ্বরের বাড়িতেও পৌঁছয় সিবিআইয়ের ৬-৭ সদস্যের একটি দল৷ বাইরে থেকে পরিচারক-পরিচারিকা তো বটেই বাড়ি সদস্য ছাড়া কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বাড়ির ভিতরে৷ গোটা বিষয়টি ঘিরেই আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা৷
সূত্রের খবর, বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি, এদিন সকাল ১১টা নাগাদ মদন মিত্রকে জিজ্ঞাসাবাদও শুরু করেছেন আধিকারিকেরা৷ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে অভিযুক্ত অয়ন শীলের সল্টেলেকের অফিসের ডাস্টবিন থেকে উদ্ধার হয়েছিল পুর নিয়োগের ওএমআর শিট সহ আরও নানা নথি৷ সেই সব নথির ভিত্তিতে টাকার বদলে চাকরির অভিযোগ তোলে ইডি৷ আদালতে পুর নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়টি জানানোও হয়৷ এর পরেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে শুরু হয় তদন্ত৷ পরবর্তীকালে পুর নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে এফআইআর দায়ের করার পরে আলাদা করে তদন্ত শুরু করে সিবিআই৷
advertisement
আরও পড়ুন: নিয়ে নেওয়া হল ফিরহাদের ফোন, আইনজীবীদের বাড়িতে ঢুকতে বাধা, আটকানো হল মেয়েকেও
পরবর্তী ক্ষেত্রে প্রায় কামারহাটি, দমদম, হালিসহর, কাঁচরাপাড়া সহ প্রায় ১৪ টি পুরসভায় তল্লাশি চালায় সিবিআই৷ চিঠি যায় পুরমন্ত্রকের দফতরেও৷ সেই তল্লাশি থেকে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য নথি উদ্ধার হয় বলে সূত্রের খবর৷ পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় একাধিক ব্যক্তিকেও৷
সূত্রের খবর, কয়েকজন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই জানতে পেরেছিল যে, অভিযুক্ত অয়ন শীল নাকি মদন মিত্রের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন৷ সেই সূত্র ধরেই এদিন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রে বাড়িতে তল্লাশি বলে জানা গিয়েছে৷ পাশাপাশি, অয়ন শীলকে বিধায়ক চিনতেন কিনা, চিনলে কতদিন চিনতেন, টাকার বিনিময়ে পুর সভার চাকরি বিক্রির বিষয়ে তিনি কিছু জানতেন কি না, এই সব নিয়ে মদন মিত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে৷
জানা গিয়েছে, শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার পাশাপাশি, পুর নিয়োগের পরীক্ষার ওএমআর শিট তৈরি ও মূল্যায়নের বরাতও পেত অয়ন শীলের সংস্থা৷ সেখানেই টাকার বিনিময়ে ইঞ্জিনিয়র থেকে টাইপ রাইচার, ঝাড়ুদার ইত্যাদি চাকরি বিক্রি হয়েছে বলে অভিযোগ৷
সাত সকালে ফের তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ পুর দুর্নীতি মামলায় বড় বড় নেতা মন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি৷ সশস্ত্র বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হল তাঁদের বাড়ি৷ সিবিআই সূত্রে খবর, রবিবার সাতসকালে প্রচুর সংখ্যক সিআরপিএফ জওয়ান সঙ্গে নিয়ে নিজাম প্যালেস থেকে বের হন কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা। তারপরে একাধিক দলে ভাগ হয়ে শহর থেকে শহরতলি একাধিক জায়গায় পৌঁছে যান৷
প্রথমেই খবর আসে কেন্দ্রীয় বাহিনী সঙ্গে নিয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের চেতলার বাড়িতে পৌঁছে যায় ৪ সদস্যের সিবিআই দল৷ অন্য দিকে, সিবিআইয়ের একটি দল পৌঁছয় কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের ভবানীপুরের বাড়িতেও। শুধু ফিরহাদ এবং মদনই নন, কাঁচরাপাড়া পুরসভা ও হালিশহর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বাড়িতেও গিয়েছে সিবিআই।