প্রথমেই খবর আসে কেন্দ্রীয় বাহিনী সঙ্গে নিয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের চেতলার বাড়িতে পৌঁছে যায় ৭-৮ সদস্যের সিবিআই দল৷ রয়েছেন ডিএসপি থেকে ইনস্পেক্টর rank-এর আধিকারিকেরা। অন্য দিকে, সিবিআইয়ের একটি দল পৌঁছয় কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের ভবানীপুরের বাড়িতেও। শুধু ফিরহাদ এবং মদনই নন, কাঁচরাপাড়া পুরসভা ও হালিশহর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বাড়িতেও গিয়েছে সিবিআই।
advertisement
সূত্রের খবর, যে কোনও রকমের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে প্রথমেই সশস্ত্র বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়ি৷ এমনকি, তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদেরও বাড়ির ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ৷ এক সময়, সেখানে পৌঁছন ফিরহাদ হাকিমের মেয়ে প্রিয়দর্শিনী হাকিমও৷ প্রথমে তাঁকেও বাড়ির ভিতরে ঢুকতে বাধা দেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা৷ তবে পরে বাড়ির সদস্য হওয়ায় তাঁকে ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া যায়৷
কিন্তু, মেয়েকে ঢুকতে দেওয়া হলেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দুই আইনজীবী৷ সিবিআই তল্লাশি অভিযান শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই সেখানে পৌঁছন ফিরহাদ হাকিমের দুই আইনজীবী তমাল ঘোষ এবং গোপাল হালদার। তবে গোয়েন্দা আধিকারিকদের অনুমতি না মেলায় বাড়ির ভিতর প্রবেশ করতে পারেননি তাঁরা।
সূত্রের খবর, বর্তমানে বাড়ির ভিতরেই রয়েছেন ফিরহাদ৷ তল্লাশি চলাকালীন নিয়মমতো তাঁর কাছ থেকে মোবাইল ফোনও নিয়ে নেওয়া হয়েছে৷ পুর নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে পুর দফতরের মন্ত্রী হিসাবে তিনি কিছু জানতেন কি না, তাঁর সঙ্গে অয়ন শীলের পরিচয় ছিল কিনা, এই সব নিয়ে ফিরহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
অন্যদিকে, সিবিআই হানার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ফিরহাদ হাকিমের বাড়ির বাইরে জড়ো হতে শুরু করেন তৃণমূল সমর্থকেরা৷ কার্যত ভিড় জমে যায় সেখানে৷ সূত্রের খবর, সেই ভিড়ের ভিডিওগ্রাফিও করেন গোয়েন্দারা৷
ফিরহাদ হাকিমের পাশাপাশি এদিন সিবিআইয়ের ৬ সদস্যের একটি তদন্তকারী দল পৌঁছেছে মদন মিত্রের বাড়ি৷ তাঁর বাড়িও ঘিরে রেখেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা৷ ভিতরে চলছে তল্লাশি৷ সূত্রের খবর, পুর দুর্নীতি কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত অয়ন শীলকে তিনি চিনতেন কি না, পুরসভায় বেআইনি নিয়োগ সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল ছিলেন কি না, সে সম্পর্কে প্রশ্ন করা হতে পারে বিধায়ককে৷
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে সেই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত অয়ন শীলের সল্টলেকের অফিস থেকে পুর নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত নথিপত্র পান তদন্তকারীরা৷ এরপরেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে শুরু হয় তদন্ত৷ ক’দিন আগেই পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি প্রায় ৯ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়েছিল খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতে৷