সব পক্ষের বক্তব্য শুনে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, রাজ্যের এই মামলা দায়েরের এক্তিয়ার আছে কি না, তা নিয়ে আরও শুনানির প্রয়োজন আছে৷ আগামী সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট৷
আরও পড়ুন: বাঘাযতীনের পর ট্যাংরা, ফের হেলে পড়ল বহুতল! আতঙ্ক এলাকায়, ঘটনাস্থলে পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা
আরজি কর কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রাইকে আমৃত্যু কারাবাসের শাস্তির নির্দেশ দিয়েছিল শিয়ালদহ আদালত৷ এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবং সঞ্জয় রাইয়ের সর্বোচ্চ সাজা চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করে রাজ্য সরকার৷
advertisement
যদিও এ দিন মামলার শুনানি শুরু হতেই রাজ্যের এই আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন সিবিআই-এর আইনজীবী ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল রাজদীপ মজুমদার৷ এর জবাবে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, ‘আরজি় কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় রাজ্য সরকারই প্রথম এফআইআর করে৷ পরে আদালতের নির্দেশে তদন্ত ভার হাতে নেয় সিবিআই৷’
বিচারপতি বসাক এর পরেও জানতে চান, সিবিআই তদন্ত করে থাকলে রাজ্যের আবেদনের কারণ কী? নির্যাতিতার পরিবারকে এই মামলায় যুক্ত করা হয়েছে কি না, তাও জানতে চান বিচারপতি৷
অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইয়ের আইনজীবী কে ছিলেন এবং তাঁকে আজ এই মামলার বিষয়ে জানানো সম্ভব কি না, তাও জানতে চান বিচারপতি বসাক৷ বিচারপতিকে জানান হয়, সঞ্জয় রাইয়ের হয়ে যাঁরা নিম্ন আদালতে আইনজীবী হিসেবে সওয়াল করেছেন, তাঁরা হাইকোর্টের নথিভুক্ত আইনজীবী নন৷ রাজ্য লিগাল এইড সার্ভিসের পক্ষ থেকে তাঁরা অভিযুক্তের হয়ে সওয়াল করেন৷
এ দিন রাজ্যের করা মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে গিয়ে বিহারের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির উদাহরণ দেন সিবিআই-এর আইনজীবী৷ তিনি বলেন, লালু প্রসাদ যাদবের ক্ষেত্রেও একই আবেদন হয়েছিল। সেক্ষেত্রে পরিষ্কার হয়েছিল এক্ষেত্রে একমাত্র সিবিআই নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন জানাতে পারে।
সিবিআই-এর এই যুক্তির পাল্টা রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, রাজ্যের হাতে আইনশৃঙ্খলা রয়েছে, বিভিন্ন তদন্তও চলছে। সিবিআই-এর হাতে তদন্তভার যায় কারণ এক্ষেত্রে কিছু সরকারি অফিসার যুক্ত থাকতে পারে বলে অনুমান করা হয়েছিল। রাজ্য এই ঘটনার অনুসন্ধান থেকে কোনও দিনই বাইরে ছিল না। সিবিআই তদন্তের উপর ভিত্তি করে যে বিচার হয়েছে, সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই এই মামলা করেছে রাজ্য সরকার৷
দু পক্ষের বক্তব্য শুনে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, রাজ্যের আবেদন গ্রাহ্য হবে কি না তা পরবর্তী দিন আবারও শুনানি হবে। এ দিন হাইকোর্টে রাজ্যের এই মামলায় যুক্তি রাখতে চায় নির্যাতিতার পরিবার। ২৪ জানুয়ারি পরিবার ওকালতনামা ফাইল করবে। সঞ্জয়ের হয়ে একজন আইনজীবী সওয়াল করতে চান।