সিবিআই-এর পক্ষ থেকে চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের দু'টি মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড ডিটেলস থেকে শতাব্দী রায়ের মোবাইল নম্বর পাওয়া যায়৷ কেন তিনি সায়গলকে ফোন করেছিলেন, তা শতাব্দীর কাছে জানতে চান সিবিআই আধিকারিকরা৷
আরও পড়ুন: দীপাবলিতে শহরে নাশকতার আশঙ্কা! থানাগুলিকে সতর্ক করল কলকাতা পুলিশ
advertisement
চার্জশিটে সিবিআই দাবি করেছে, শতাব্দী রায় তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলার জন্যই তিনি সায়গলকে ফোন করেছিলেন৷ সিবিআই কর্তাদের দাবি, অনুব্রতর সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম যে সায়গলই ছিলেন, শতাব্দীর বয়ানেই তা প্রমাণিত৷ শতাব্দীর থেকে এই মামলা সংক্রান্ত আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে বলেও সিবিআই সূত্রে খবর৷
শতাব্দী রায় নিজে অবশ্য দাবি করেছেন, 'যে নম্বর থেকে আমি ফোন করেছি বলে দাবি করা হচ্ছে সেই ফোনটা বীরভূমে আমার ব্যক্তিগত সচিবের কাছে থাকে৷ আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল আপনি ফোন করেছেন? আমি বলেছি হ্যাঁ৷ যদি এক সেকেন্ড, দু' সেকেন্ড, তিন সেকেন্ডের জন্য কথা বলেও থাকি তাহলে কি বিরাট অপরাধ হয়েছে নাকি? উনি দলের জেলা সভাপতি আর আমি সাংসদ, কথা তো হতেই পারে৷ এর সঙ্গে গরুর কী সম্পর্ক?'
অনুব্রতর বিরুদ্ধে সিবিআই শতাব্দীকে সাক্ষী করায় স্বভাবতই তা তৃণমূলের কাছে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ যদিও তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'এমন নয় যে শতাব্দী কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ করেছেন৷ উনি বীরভূমের সাংসদ৷ অনুব্রত মণ্ডল তৃণমূলের জেলা সভাপতি৷ ফলে কোনও প্রয়োজনে শতাব্দীর সচিব অনুব্রতকে ফোন করতেই পারেন৷ এ বিষয়ে আমার সঙ্গে শতাব্দীর কথাও হয়েছে৷'