প্রসঙ্গত, বালির নিশ্চিন্দা এলাকায় একটি বিশাল জলাভূমি ছিল। সেই জলাভূমির প্রতি নজর ছিল স্থানীয় প্রোমোটারি চক্রের। ২০১১ সালে তৃণমূল তখন ক্ষমতায় এসে গিয়েছে। এলাকায় তখন তৃণমূলের কর্মীদের দাপট। সেই সময় ওই জলা জমি ভরাট নিয়ে দলের ভিতরেই আপত্তি তুলে কাজে বাধা দিয়েছিলেন তপন দত্ত।
২০১১ সালে ৬ মে, ঘটনার দিন রাতে বাড়ি ফিরছিলেন তপন দত্ত। সেখানে রেলগেটের কাছে তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। তার পর থেকেই এই ঘটনার প্রকৃত তদন্ত ও সিবিআইয়ের দাবিতে দীর্ঘ ১১ বছর লড়াই চালিয়ে এসেছেন তপন দত্তের স্ত্রী প্রতিমা দত্ত। বৃহস্পতিবার আদালত চত্বরে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় পরই তিনি জানান, এবার আশা করি দোষীরা শাস্তি পাবে।
advertisement
আরও পড়ুন: টেটে নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য, উপেন বিশ্বাসের তোলা অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই!
সেই সময় তপন দত্ত খুনের পর রাজ্যজুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল। ঘটনার তদন্তভার নিয়েছিল সিআইডি। প্রথম দফায় অভিযুক্তদের নামে যে চার্জশিট দেওয়া হয়, তাতে হাওড়ার এক মন্ত্রীর নাম ছিল। তার পরেই সাপ্লিমেন্টারি একটি চার্জশিট জমা পড়ে আদালতে। আশ্চর্যজনক ভাবে সেখান থেকে ওই মন্ত্রীর নাম উধাও হয়ে যায়। প্রতিমাদেবী হাইকোর্টে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান এবং মামলা চালিয়ে যেতে থাকেন।
আরও পড়ুন: এসএসসি নিয়ে বিস্ফোরক উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, কী পোস্ট করেছিলেন তিনি ফেসবুকে
শুক্রবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ জানিয়েছে, ওই খুনের ঘটনার তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সব দায়িত্ব সিবিআই পালন করবে। প্রতীমা দেবী বলেন, ''এই নির্দেশে আমি খুশি। আমার স্বামীর খুনের অপরাধীরা রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এবার অন্তত দোষীদের শাস্তি হবে।''