হাজারের বেশি বেআইনি নিয়োগের তথ্য সিবিআইয়ের হাতে ছিলোই। পরীক্ষায় আবেদন না করেই চাকরি। অনেক স্কুলকে প্রভাব খাটিয়ে বাধ্য করে করে ভুয়ো নিয়োগ করতে যোগদান করার তথ্যও এসেছে। এসএসসি ডিজিটাল ডেটা রুম সিল করার পাশাপাশি নতুন কিছু তথ্য তাদের সামনে আসে তল্লাশি থেকে।
advertisement
বুধবার ফের সিবিআই অফিসাররা এসএসসি অফিসে পৌঁছয় নতুন তথ্যের সন্ধানে। সূত্রের খবর, মামলাকারীদের দেওয়া নতুন দুর্নীতির তথ্য যাচাই করতেই সিবিআইয়ের বুধবারের তল্লাশি অভিযানের একটা কারণ ছিল।
হাই কোর্ট এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে দুটি বিষয় স্পষ্ট করে জানতে চায় সিবিআই থেকে, বেআইনি নিয়োগের আড়ালে প্রভাবশালী কারা। অদৃশ্য হাতের সন্ধান। অন্য দিকে, মোটা অঙ্কের লক্ষ লক্ষ ঘুষের টাকা কোন পথে পৌঁছেছে। সেই অর্থের সুবিধাভোগী কারা। আর্থিক অপরাধের রহস্যভেদ করা।
এ ছাড়া বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর পর্যবেক্ষণ স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, সিবিআই হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তবেই আসল সত্য উঠে আসবে। বিচারপতির পর্যবেক্ষণের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত সিবিআই তদন্তের বিন্দুমাত্র মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। আবার হতে পারে সিবিআই সবার আগে বেআইনি নিয়োগের ব্যাপ্তি এবং লক্ষ লক্ষ ঘুষের টাকা আন্দাজ নিতে চাইছে প্রথমে। তাই শুধু তথ্য সংগ্রহ করে চলা। মামলাকারীদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত, ফিরদৌস শামিম, বিক্রম বন্দোপাধ্যায়'রা জানাচ্ছেন, 'বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিল, আর পাঁচটা সিবিআই তদন্তের মতো এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত সমান নয়। কাজেই সিবিআইকে কর্মী সঙ্কট কাটিয়ে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে আরও জোর দিতে হবে। প্রথম দফায়, পরপর তিন দিন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে দু'দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ ছাড়া সিবিআইয়ের ক্রিয়াকলাপে তেমন গতি নজরে আসেনি।'
আরও পড়ুন: জল্পনা শেষ, হার্দিক প্যাটেল এবার মোদির সৈনিক! বৃহস্পতিবারই প্রকাশ্যে সবকিছু
১০ জুন নিয়োগ দুর্নীতির অগ্রগতি রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। আগামী সাত দিন এসএসসি তদন্তে নানা পট পরিবর্তন হতে পারে বলেই মনে করছে মামলাকারীদের অনেকেই। মন্ত্রীকন্যা নিয়োগ মামলার অন্যতম মামলাকারী ববিতা সরকার বৃহস্পতিবার নিজামে হাজিরা দেবেন। সঙ্গে দেবেন নথি। ভোট পরবর্তী হিংসা, হাঁসখালি, বগটুই, ঝালদা তদন্তের পাশাপাশি এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি এখন সবথেকে বড় মাথাব্যথা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে। ডিভিশন বেঞ্চের কথায়, 'গণ দুর্নীতি' এসএসসিতে, যেদিকে নজর গোটা দেশের।