সিবিআই এই মামলায় তদন্ত করতে চায় না বলে এই ধরনের কৌশল গ্রহণ করছে। সিবিআই যে মামলায় মনে করবে তদন্ত করবে, আর যে মামলায় ইচ্ছা করবে না সেই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করবে না এটা হতে পারে না, মন্তব্য বিচারপতির। সমস্ত মামলার তদন্ত করছেন আর এই মামলায় বলছেন যে রাজ্যের অনুমোদন প্রয়োজন? প্রশ্ন বিচারপতির। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে সমস্ত কিছুর রাজনীতিকরণ করা হচ্ছে। তারা এই মামলা এড়িয়ে যেতে চাইছে, কারণ সিবিআইয়ের ওপর এমনিই অনেক কাজের চাপ রয়েছে। সওয়াল রাজ্যের।
advertisement
২০২২ সালে SBI-এর তরফ থেকে সিবিআই-এর কাছে আর্থিক দুর্নীতির একটি অভিযোগ জানানো হয়। প্রায় ২ বছর পরে সিবিআই জানায় যে ২০১৮ সাল থেকে রাজ্য সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে আগের যে সম্মতি ছিল, তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তাই SBI-এর এই মামলার তদন্ত করতে গেলে রাজ্যের অনুমোদন লাগবে।
RBI এর গাইডলাইন অনুযায়ী, ৬ কোটি টাকার ওপরে দুর্নীতি হলেই ব্যাংকগুলোকে সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ জানাতে হয়। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় SBI। যদি সিবিআই কোনও প্রাথমিক অনুসন্ধান করে থাকে, তাহলে তার রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের কাছে পেশ করতে হবে। নির্দেশ বিচারপতির। আগামী ২১ জানুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি দেখা যায় যে এই আর্থিক দুর্নীতিতে প্রাথমিকভাবে SBI-এর কোন কর্মী যুক্ত রয়েছেন, তাহলে তো রাজ্যের কোন আপত্তি থাকার কথাই নয়। এমনই মন্তব্য বিচারপতির।