গতকাল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এক সময়কার ব্যক্তিগত সচিব সুকান্ত আচার্যকে সিবিআই নিজাম প্যালেসে দফতরে ডাকে। তাকে ৪ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে। সূত্রের খবর, সেই জিজ্ঞাসাবাদে তেমন কিছু তথ্য পায়নি সিবিআই। এমনকি পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুকান্তকে সামনাসামনি বসিয়ে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারী অফিসাররা। তাতেও কোনও সন্তোষজনক ফল পায়নি সিবিআই। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেই তিনি কিছু জানেন না, মনে পড়ছে না বলে প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছেন। ওই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে কোনভাবে যুক্ত নয় বলে তিনি জানিয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে রিপোর্ট পেশ সিবিআই-এর, বিচারপতি বললেন 'বিস্ময়কর তথ্য'
অন্যদিকে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি জানিয়েছেন, ওই রকম ঘটনার কথা তার মনে নেই। সিবিআই-এর কাছে বেশ কিছু নথি রয়েছে। যেমন প্রসন্নর বাড়ি থেকে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি চাকরি প্রার্থীদের নামের তালিকা পাওয়া গিয়েছিল। সেই তালিকার ভিত্তিতে ভুয়ো নিয়োগ হয়েছিল। সেই কাগজ দেখালেও ধৃতেরা প্রত্যেকেই অস্বীকার করছে। এই বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের মধ্যে একদিকে সই জাল করে, সরকারি প্রিন্ট ব্যবহার করে, নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। সেই নিয়োগের মধ্যে রাজনৈতিক নেতাদের সুপারিশ ছিল। সে সমস্ত কিছু পার্থ চট্টোপাধ্যায় অস্বীকার করছে।
আরও পড়ুন: এসএসসি-তে বেআইনি সমস্ত নিয়োগ বাতিল করে দেব: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
অন্যদিকে, মানিক ভট্টাচার্য সিবিআই-এর কাছে ফেরার। তার দিকেও নজর রয়েছে সিবিআই-এর। সূত্রের খবর, যেহেতু পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সেরকম কোনও তথ্য পাচ্ছে না গোয়েন্দারা। দুজনেই তদন্তকারীদের প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে সিবিআই-এর তদন্তে অসন্তুষ্ট আদালত। স্কুল সার্ভিসের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মোট তিনটি মামলা তদন্ত করছে সিবিআই। তিনটিতেই এখনও উল্লেখযোগ্য ভাবে তদন্তে কোনও গতি পায়নি। সিবিআই-এর মন্থর গতির তদন্ত নিয়েও সাধারণ মানুষ খুব ক্ষুব্ধ।