কিন্তু ভোটের কাজে ব্যস্ত থাকায় দুবারই নোটিশ এড়িয়ে গিয়েছিলেন পার্থ বাবু। ভোটপর্ব মেটার পর তৃতীয় নোটিশ দিয়েছিল সিবিআই। নোটিশ অনুযায়ী সোমবার বেলা ১১টা নাগাদ সিবিআই দফতরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ডাকা হয়। কিন্তু এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী মেইল করে জানান, তাঁর পক্ষে সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে যাওয়া সম্ভব নয়। কারণ হিসেবে পার্থ বাবু জানান, তিনি একজন প্রবীণ নাগরিক, দফতরের নানা কাজের ব্যস্ততা রয়েছে। সিবিআই চাইলে কোন জায়গায় এলে তিনি সব রকমের সহযোগিতা করতে রাজি।
advertisement
সূত্রের খবর, এর পরেই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন সিবিআই আধিকারিকরা। দিল্লির সিবিআই কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মামলার তদন্তকারী অফিসার। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় ক্যামাক স্ট্রিটের শিল্প সদনে, যেখানে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অফিস সেখানেই সিবিআই আধিকারিকরা যাবেন। সেই মতোই ঠিক ১১.৫০ মিনিট নাগাদ সিবিআইয়ের চারজনের দল শিল্প সদনে আসেন। সোজা সাত তলায় মন্ত্রীর দফতরে উঠে যান তাঁরা। তার ঠিক দশ মিনিটের মধ্যে পার্থ বাবু চলে আসেন দফতরে।
আরও পড়ুন: রান্নাঘরে হঠাৎ কামড়, গৃহবধূর মর্মান্তিক পরিণতি! গোটা অশোকনগরে এখন নতুন ত্রাস...
সেখানেই জিজ্ঞাসাবাদপর্ব শুরু হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায় সিবিআইকে সবরকমভাবে সহযোগিতা করেছেন। আইকোর চিটফান্ড সংস্থার হয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বেশ কিছু অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে গিয়েছিলেন, বক্তব্যও রেখেছিলেন। সেই সব অনুষ্ঠানের ভিডিও ক্লিপিংস মন্ত্রীকে দেখানো হয়। সেই অনুষ্ঠানগুলিতে কেন তিনি গিয়েছিলেন, তা জানতে চান তদন্তকারীরা। এছাড়াও, নাকতলার একটি ক্লাবের অ্যাকাউন্টে আইকোরের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে। সেই অর্থ কেন ট্রান্সফার করা হল, সেটাও জানতে চাওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে।
---সুকান্ত মুখোপাধ্যায়
