খবর পাওয়া মাত্র স্লোগান দিতে দিতে কেঁদে ফেলেন বেশ কয়েকজন চিকিৎসক। আনন্দাশ্রু চোখে নিয়েই তাঁরা জোরালো কন্ঠে বলেন, “আমরা ৩ ঘন্টা অপেক্ষা করেছি। আমরা ঘাড় নোয়াইনি। আরও কত অপরাধী বাইরে আছে! সব জেলের ঘানি টানবে। আজ আমাদের বোন একটু শান্তি পাবে। আমাদের শিরদাঁড়া কেউ বাঁকাতে পারবে না”।
আরও পড়ুন- ৯৮ হাজার ৬৫০ টাকা অটোতে ফেলে নেমে গেলেন যাত্রী! তার পর যা হল…! শুনলে তাজ্জব হবেন!
advertisement
সন্দীপ গ্রেফতার হতেই উল্লাস দেখা যায় আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের। এত দিনে একটু হলেও বিচার পেলেন নির্যাতিতা চিকিৎসক, এমনই মনে করছেন তাঁর সতীর্থরা। সূত্রের খবর, তথ্য প্রমাণ লোপাট এবং তদন্তকে ভুল পথে চালিত করার অভিযোগে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ সন্দীপ ঘোষের পাশাপাশি আজ টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকেও একই অভিযোগে গ্রেফতার করেছে সিবিআই৷
আরও পড়ুন- ছাড়াতে সমস্যা? আস্ত মোচা দিয়েই রাঁধুন এই সুস্বাদু পদ! টেক্কা দেবে সব রান্নাকে…
এর আগেই আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির তদন্তে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই৷ এবার মূল মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হল৷
গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে উদ্ধার হয় তরুণী চিকিৎসকের দেহ৷ এই ঘটনার তদন্তে নেমে পরের দিনই গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয় রায় নামে একজন সিভিক ভলেন্টিয়ারকে৷ এর পর এই মামলার তদন্তভার হাতে নিয়ে সন্দীপ ঘোষকে একটানা প্রায় ১৪ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই৷ তাঁর পলিগ্রাফ টেস্টও করা হয়৷
সিবিআই সূত্রে খবর, আরজি করে চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধারের পর তৎকালীন অধ্যক্ষ হিসেবে সন্দীপ ঘোষের যে ভূমিকা ছিল, তা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে৷ তথ্যপ্রমাণ লোপাটের যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, তাতেও সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করছে সিবিআই৷ টানা জিজ্ঞাসাবাদের সময় সন্দীপ ঘোষ বার বার তদন্তকারীদের এই বিষয়গুলিতে সন্দীপ ঘোষ বিভ্রান্ত করেছেন বলে সিবিআই সূত্রে অভিযোগ৷ এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রয়েছেন সন্দীপ ঘোষ৷ খুন এবং ধর্ষণ মামলায় সন্দীপ ঘোষখে হেফাজতে নেওয়ার জন্য রবিবার আদালতে আবেদন করবে সিবিআই৷