গত রবিবার বগটুই হত্য়াকাণ্ডে অন্য়তম মূল অভিযুক্ত লালন শেখের মৃতদেহ উদ্ধার হয় সিবিআই ক্য়াম্প অফিস থেকে। সিবিআই হেফাজতেই ছিলেন লালন শেখ। লালন শেখের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুন সহ একাধিক জামিন অযোগ্য় ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: লালন শেখের মৃতদেহ নিয়ে অফিসের সামনে পরিবার, নথি সরিয়ে নিল সিবিআই
advertisement
এই এফআইআর-কে চ্য়ালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সিবিআই-এর আইনজীবী ডি পি সিং। সিবিআই-এর পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়, লালন শেখের মৃত্য়ুর ঘটনায় সিবিআই-এর ডিআইজি, এসপি সহ সাত জন আধিকারিকের নাম রয়েছে এফআইআর-এ। এমন কি, গরু পাচার সহ অন্য়ান্য় মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের নামও এফআইআর-এ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের আধিকারিকরা আশঙ্কায় রয়েছেন বলে আর্জিতে জানায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আরও দাবি, তাদের হেফাজতে থাকলেও লালন আত্মহত্য়াই করেছেন।
আদালতে আজই জরুরি শুনানির জন্য় সিবিআই-এর পক্ষ থেকে আর্জি জানানো হয়। সিবিআই-এর আর্জির ভিত্তিতে আজ দুপুর তিনটের সময় মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এই মামলার সঙ্গে যুক্ত সবপক্ষকেই শুনানি সম্পর্কে অবহিত করতে হাজির থাকতেও নির্দেশ দেন বিচারপতি।
সিবিআই-এর পক্ষ থেকে আরও প্রশ্ন তোলা হয়, মৃতের পরিবার অভিযোগ দায়ের করলেও এফআইআর দায়েরের আগে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও অনুসন্ধান করা হয়েছে কি না! লালনের মৃত্য়ুর ঘটনার সঙ্গে সিবিআই-এর ডিআইজি-র কী সম্পর্ক, কেনই বা তাঁর নাম এফআইআর-এ যুক্ত করা হল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন সিবিআই-এর আইনজীবী।
আরও পড়ুন: গভীর রাতে পঞ্চায়েত অফিসে মধুচক্র, ফাইল লোপাট? বিজেপির বিক্ষোভে উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম
সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে লালন শেখ মৃত্য়ুর ঘটনায় পুলিশ যে এফআইআর দায়ের করেছে, তাতে খুন, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ছাড়াও তোলাবাজি, হুমকি, ভয় দেখানোর মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ১২০ (বি), ৪৪৮, ৩২৩, ২৮৫, ৩৮৬, ৪২৭, ৫০৯ এবং ৩৪ নম্বর ধারায় মামলা করা হয়েছে।
লালন শেখের মৃত্য়ুর ঘটনার পর গতকাল রাতেই কলকাতায় পৌঁছন অজয় ভটনাগর। কলকাতায় পৌঁছনোর পর লালন শেখের মৃত্য়ুর ঘটনা এবং পুলিশের দায়ের করা এফআইআর নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত অন্য়ান্য় আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন সিবিআই শীর্ষ কর্তা। এ দিন সকাল থেকেও ফের বৈঠক শুরু হয়।