রবিবার বেহালার একটি সভা থেকে অনুূ্ব্রতর পাশে থাকার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ অনুব্রতকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলেও কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেন তিনি৷ অনুব্রতর জন্য সহানুভূতি ধরা পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর গলায়৷
মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তার পরই অনুব্রত তাঁর আইনজীবীকে জানিয়েছিলেন, তিনি অনেকটা আত্মবিশ্বাসী বোধ করছেন৷ দলনেত্রী যে তাঁর পাশে থাকবেন, একথা তিনি জানতেন বলেও দাবি করেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি৷ অনুব্রতর আইনজীবীই সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানান৷
advertisement
আরও পড়ুন: খেলা হবে দিবসের শুভেচ্ছা মমতার! 'সবে তো দু গোল হয়েছে', কটাক্ষ দিলীপের
সিবিআই সূত্রে দাবি, খোদ মুখ্যমন্ত্রী পাশে রয়েছেন জেনেই মুষড়ে পড়া অনুব্রত অনেকটা চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন৷ সিবিআই-এর অভিযোগ, এমনিতেই গ্রেফতারের পর প্রথম থেকেই সেভাবে তদন্তকারীদের সহযোগিতা করছিলেন না তৃণমূল নেতা৷ কিন্তু রবিবারের পর সেই অসহযোগিতা আরও বেড়েছে৷ জিজ্ঞাসাবাদের সময় এক রকম মুখে কুলুপ এঁটেছেন অনুব্রত৷
আরও পড়ুন: 'দলের কেউ খোঁজ নিচ্ছে?' আইনজীবীকে প্রশ্ন পার্থর, উত্তর শুনে হতাশ
সিবিআই সূত্রে আরও দাবি করা হচ্ছে, এনামুল হকের মতো গরু পাচারকারীদের সঙ্গে অনুব্রতর সরাসরি যোগের তথ্যপ্রমাণ তাঁদের হাতে এসেছে৷ অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের আয় বহির্ভূত বিপুল সম্পত্তির তালিকাও তাঁদের হাতে রয়েছে৷ অনুব্রত এবং তাঁর মেয়ে ও আত্মীয়, এমন কি, বাড়ির কর্মচারী, গাড়ির চালকদের নামেও বিপুল সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে৷ কিন্তু তথ্য প্রমাণ নিয়েও অনুব্রতকে প্রশ্ন করলে তিনি কোনও জবাব দিচ্ছে না বলে দাবি সিবিআই-এর৷
আগামী ২০ অগাস্ট পর্যন্ত অনুব্রতর সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ ফলে সিবিআই কর্তাদের হাতে সময়ও খুব বেশি নেই৷ এ দিনই অনুব্রতকে ফের েমডিক্যাল টেস্টের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ ফিরে আসার পর আবারও জেরা করা হবে অনুব্রতকে৷ কিন্তু কেষ্ট মুখ খুলবেন, এমন আশা করছেন না সিবিআই কর্তারা৷