TRENDING:

হাড় কাঁপানো শীতে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে বাধ্য হলেন ক্যানসার আক্রান্ত রোগী !

Last Updated:

চূড়ান্ত অমানবিকতার সাক্ষী থাকল বীরভূম বক্রেশ্বরের আবোদপুর গ্রামের কানাই ঘোষ ও তাঁর পরিবার পরিজন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
Abhijit Chanda
advertisement

#কলকাতা: গলায় বিশাল আকৃতির টিউমার। সঙ্গে তীব্র শ্বাসকষ্ট। শরীরে অক্সিজেন অনেকটাই কম ঢুকছে। তবুও ভর্তি নিচ্ছে না শিয়ালদহ এনআরএস হাসপাতাল। চূড়ান্ত অমানবিকতার সাক্ষী থাকল বীরভূম বক্রেশ্বরের আবোদপুর গ্রামের কানাই ঘোষ ও তাঁর পরিবার পরিজন। ৬০ বছর বয়সী কানাই ঘোষের বছরখানেক আগে গলায় একটি ছোট টিউমার হয়। দ্রুত সেই টিউমার বাড়তে থাকে।

advertisement

মাসখানেক আগে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে গলার ওই টিউমার দেখে চিকিৎসকরা জানান যে সেটি ক্যান্সার। ছোট একটি জমিতে ভাগচাষী হতদরিদ্র কানাই ঘোষ এর পক্ষে ক্যান্সারের চিকিৎসা করে ওঠা সম্ভব ছিলনা। বুধবার সকাল থেকেই তার তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাঁর আত্মীয়রা ধার দেনা করে অ্যাম্বুল্যান্সে করে রাত ১১টা নাগাদ শিয়ালদহ এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে আসে। জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান, কোন বেড নেই। পরের দিন আউটডোরে দেখাতে হবে। তীব্র শ্বাসকষ্টে ছটফট করতে থাকা কানাই ঘোষের স্থান হয় এমার্জেন্সির উল্টোদিকে রাস্তায়। কনকনে ঠান্ডায় বিনিদ্র রাত কাটে কানাই বাবু এবং তার আত্মীয় পরিজনদের।

advertisement

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নিউজ 18 বাংলায় এই খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দুপুরেই ডেকে পাঠানো হয় কানাইবাবু এবং তার পরিবার পরিজনদের। কানাইবাবুর শারীরিক অবস্থা দেখেই দ্রুত তাকে ভর্তি করার সুপারিশ করে হাসপাতালের ডেপুটি সুপার ডাঃ দ্বৈপায়ন বিশ্বাস। তিনি জানান, এইধরনের মুমূর্ষু রোগীকে ভর্তি না করা অনুচিত। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যে বা যারা দায়ী তাদেরকে ছাড়া হবে না এর পরপরই প্রথমে ইএনটি বিভাগ বলে,এটি ক্যানসার বা অনকোলজি ডিপার্টমেন্টের চিকিৎসার বিষয়। অন্যদিকে অঙ্কোলজি ডিপার্টমেন্ট বলে, এটি ইএনটির চিকিৎসার বিষয়। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে ১৮ ঘণ্টা পর এমার্জেন্সি অবজারভেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয় কানাই ঘোষকে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

কানাই ঘোষ একা নয়,এরকম অসংখ্য মরণাপন্ন, মুমূর্ষু রোগীকে প্রতিদিন রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল থেকে ফেরত পাঠানো হয় বলে অভিযোগ। একদিকে মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার করে বলছেন, কোনো মরণাপন্ন রোগী কে সরকারি হাসপাতাল ভর্তি না নিয়ে ফেরত পাঠাতে পারে না। কিন্তু তার বিপরীত ছবিই মাঝেমধ্যে উঠে আসছে বিভিন্ন জায়গা থেকে। এখন দেখার বিষয়, সংবাদমাধ্যমে খবর প্রচারিত হওয়ার পর হতভাগ্য কানাই ঘোষ কে ভর্তি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার সুচিকিৎসা কি আদৌ হবে, সে দিকেই তাকিয়ে আছে তার গোটা পরিবার-পরিজনরা।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
হাড় কাঁপানো শীতে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে বাধ্য হলেন ক্যানসার আক্রান্ত রোগী !
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল