এই অ্যাক্রেলেমাইড ক্যান্সারের মূল কারণ। বিশেষ করে দোকানে বেকারিদের যে সমস্ত খাদ্যদ্রব্য বিক্রি হয়, তার মধ্যে বেশিরভাগই অত্যাধিক তাপমাত্রায় হালকা থেকে গাঢ় বাদামী বর্ণের হয়ে যায়। এই বাদামি বর্ণ হয়ে যাওয়া জিনিসই অ্যাক্রেলেমাইডের প্রধান উপকরণ।
আরও পড়ুন: আদালতে বড় স্বস্তি পেল ইডি, সন্দেশখালির ঘটনায় তাজ্জব হাইকোর্ট! বিস্ফোরক অভিযোগ
advertisement
যা খাওয়া একেবারেই উচিত নয় বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। আমাদের বাড়ির রান্নাতে সাধারণত ১২০ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রায় তৈরি হয় না। তবে দেখা যায়, অনেকেই রান্নার আগে মশলা অনেকটা তাপমাত্রায় ভাজে কিংবা তেলে দিয়েও ভেজে মশলা পুড়িয়ে ফেলে।
আরও পড়ুন: কেন সুজিতের বাড়িতে ইডি, রয়েছে ‘বড়’ কারণ! তাপসের অফিসেও মহিলা অফিসারের তল্লাশি
এছাড়াও আলু ঝুরিঝুরি করে ভেজে বাদামি বর্ণের করে তোলে। যেমন মাছ ভেজে অনেকে গাঢ় বাদামী বর্ণের বা মাংস পুড়িয়ে খায়। সেটাও ভয়ংকর ভাবে শরীরের পক্ষে ক্ষতির বলে মনে করেন খাদ্য বিজ্ঞানীরা। এ বিষয়ে আলোকপাত করেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ২০০২ সালে গবেষণায় এক acrylamide নজরে আসে। তারপর সেটিকে ২০১০ সালে জয়েন্ট ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন/ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়ে জানায় acrylamide মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভয়ঙ্কর ভাবে ক্ষতিকর।” এছাড়াও যদি কেউ ভাজা খেতে চান, তাহলে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই কিংবা খাবার পুড়িয়ে,শুধু সেদ্ধ আকারে খাওয়া উপকারী বা হালকা ভেজে খাওয়া উচিত। অনেকেই মুখের রুচি আনতে গিয়ে খেয়ে ফেলছেন। সেটা না করাই বাঞ্ছনীয়। এটা থেকে শুধু ক্যান্সার নয়, স্নায়ুতন্ত্রের ভয়ংকর ক্ষতি হয়।’