রাত দশটার পর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা নির্বাচন কমিশনের ৷ তবে তার আওতায় নয় উপনির্বাচন ৷ যেসব জায়গায় ১৯ মে উপনির্বাচনের সূচি রয়েছে সেখানে প্রচারে কোনও বাধা নেই বলে জানিয়েছে কমিশন ৷
শুধু ১৯ মে নয়, রাজ্যে ২০ মে রয়েছে নির্বাচন ৷ ইসলামপুর, দার্জিলিং, ভাটপাড়া, হবিবপুরে উপনির্বাচন হবে ১৯ মে ৷ নওদা এবং কান্দিতে ভোট হবে ২০ মে ৷
advertisement
নির্বাচন কমিশনের নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত। সংবিধানের ৩২৪ ধারা প্রয়োগ করে বাংলায় প্রচারের সময় ২০ ঘণ্টা কমিয়ে দিল কমিশন। কোনও ঘটনার নাম না করলেও কমিশন বুঝিয়ে দিল, অমিত শাহের রোড শো ঘিরে অশান্তির জেরেই এমন সিদ্ধান্ত।
নজিরবিহীন ভাবে সংবিধানের ৩২৪ ধারা প্রয়োগ করে, বাংলায় প্রচারের সময়সীমা কাঁটছাটের কথা বুধবার রাতে ঘোষণা করে কমিশন। কিন্তু, কেন এমন সিদ্ধান্ত? বুধবার বাংলায় নরেন্দ্র মোদি দু’জায়গায় সভা করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রচার করেন। এছাড়াও, শেষ লগ্নের প্রচারে নামে সব দলই। রাজ্যের কোনও অংশ থেকেই অশান্তির কোনও খবর মেলেনি। তা হলে কেন এভাবে প্রচারে কাটছাঁট? কমিশন মনে করছে, গত ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ, মঙ্গলবার বাংলায় যা ঘটেছে এবং তার ভিত্তিতে যে রিপোর্ট তারা পেয়েছে, তাতেই এই সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে তারা।
গত ২৪ ঘণ্টায় অশান্তির ঘটনা বলতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের রোড শো ঘিরে কলকাতায় তুলকালাম কাণ্ড। নাম না করলেও এই ঘটনার জেরেই যে এমন নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত তা স্পষ্ট করে দিয়েছে কমিশন।