পশ্চিমবঙ্গে সোমবার করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে দমদমের বাসিন্দা এক প্রৌঢ়ের। কলকাতার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের এবং রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনা সন্দেহে আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে। যেখানেই করোনা সন্দেহে আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে, সেখানেই অন্য ওয়ার্ড বা অন্য বিল্ডিং এ ভর্তি থাকা রোগীদের এবং তাঁদের আত্মীয়দের মধ্যে চূড়ান্ত আতঙ্ক দানা বেঁধেছে। এর পাশাপাশি করোনা সন্দেহে আক্রান্তরা বিভিন্ন হাসপাতালে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকায় চিকিৎসারও অসুবিধা হচ্ছে।
advertisement
মূলত বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত সন্দেহে জরুরি বিভাগে আসছেন। বিদেশ থেকে আসা বা অন্য রাজ্য থেকে আসা ব্যক্তিরাও নিজেদেরকে এলাকায় করোনা মুক্ত করার জন্য আইডি হাসপাতালে ছুটে আসছে। সেই চাপ মুক্তির জন্যই কলকাতা মেডিকেল কলেজে গড়ে তোলা হচ্ছে দেশের মধ্যে প্রথম করোনা আক্রান্তদের মোকাবিলায় উৎকর্ষ কেন্দ্র হিসাবে।
কলকাতা মেডিকেল কলেজের নবগঠিত ১০ তলা সুপারস্পেশালিটি বিল্ডিং এবং সাত তলার নতুন ছাত্রাবাস খালি করে সেখানেই আপাতত ৫০০ বেড প্রস্তুত করা হচ্ছে। এখানে ধাপে ধাপে আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে যে সমস্ত রোগী ভর্তি রয়েছে, তাদেরকে অন্য সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে। নতুন করে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আর কোনরকম রোগী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। একইসঙ্গে যে সমস্ত রোগীকে অবজারভেশন ওয়ার্ডে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে, তাদের প্রত্যেককে মঙ্গলবার থেকেই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। বেশক'টি নতুন ভেন্টিলেটর আনা হচ্ছে। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট আরো বাড়ানো হচ্ছে।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আপাতত ৫০০ বেড খোলা হচ্ছে। ধাপে ধাপে ৩০০০ বেড করা হবে গোটা হাসপাতালে। এরই সঙ্গে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে মোট ১৫০ বেড, টালিগঞ্জ এম আর বাংগুর হাসপাতালে মোট ৬০০ বেড এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়াও কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ এও করোনা আক্রান্ত সন্দেহে চিকিৎসার জন্য বেড বাড়ানো হচ্ছে।
Avijit Chanda