মেডিক্যাল কলেজে তড়িঘড়ি তাঁর সিস্টোস্কোপি করা হয়। দেখা যায় এমন অস্বাভাবিক ঘটনার নেপথ্যে ফিসচুলা। চিকিৎসক প্রিয়াঙ্কা স্যানাল জানিয়েছেন, প্রস্রাবের পথ এবং যোনির মাঝখানে হয়েছিল ফিসচুলা। ফিসচুলার অর্থ দু’দিক খোলা নালি। তার ফলেই প্রস্রাব সরাসরি ফিসচুলা দিয়ে চলে আসছিল মহিলার যোনিতে।
আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহেই মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ, দিনক্ষণ জানিয়ে ট্যুইট শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর
advertisement
পরীক্ষা নিরীক্ষার পর মহিলার দ্রুত অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসক তারাশঙ্কর বাগ। তাঁর নেতৃত্বে ইউরোলজি সংক্রান্ত এই সমস্যা থেকে ওই মহিলাকে মুক্তি দিলেন স্ত্রীরোগ বিভাগের এক ঝাঁক চিকিৎসক। অস্ত্রোপচারে তাঁকে সাহায্য করেছেন স্ত্রীরোগ বিভাগের সার্জন শ্যামলী দত্ত, পলাশ মজুমদার এবং প্রিয়াঙ্কা সান্যাল।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ঋতুস্রাবে অত্যধিক রক্তপাত হত ওই মহিলার। তার সঙ্গে মারাত্মক পেটে ব্যথা। সাধারণত প্রতিটি ঋতুচক্রে গড়ে ৩০- ৪০ মিলিলিটার রক্ত বেরোয়। কিন্তু যখন ৮০ মিলিলিটার বা তার থেকে বেশি রক্তপাত হয়, তখনই তাকে ভারী রক্তক্ষরণ বা হেভি মেনস্ট্রুয়াল ব্লিডিং বলা হয়। সে সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বেসরকারি হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সে সময় টোটাল ল্যাপারোস্কোপিক হিসটেরেকটমি করা হয়। রক্তপাতের সমস্যা মিটলেও শুরু হয় অন্য সমস্যা। ইউরিন লিকেজ। তাও আবার যোনি দিয়ে।
সে সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তিনি আসেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। হাসপাতালের স্ত্রী রোগ বিভাগের অধ্যাপক ডা. তারাশঙ্কর বাগ জানিয়েছেন, ঘটনাটা অত্যন্ত অস্বাভাবিক। এমন ঘটনা চলতে থাকলে হীনমন্যতা আসা স্বাভাবিক। অবসাদ গ্রাস করেছিল ওই মহিলাকেও।
স্ত্রীরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসক স্বপন জানার তত্ত্বাবধানে হয় জটিল অস্ত্রোপচার। চিকিৎসা পরিভাষায় এই অস্ত্রোপচারের নাম ইউরেটর রিইমপ্ল্যান্টেশন। অর্থাৎ মুত্রনালির পুনর্গঠন। টানা দেড় ঘণ্টার অস্ত্রোপচার শেষে এখন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন ওই মহিলা। মুক্তি পেয়েছেন সামাজিক বিড়ম্বনা থেকেও৷