১১ বছর শিক্ষকতা করছেন। পড়ান গণিত। এযাবৎ সব ঠিক ছিল, সমস্যায় পড়লেন মাস্টারমশাই নিজের সন্তানকে নিয়ে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সন্তান। স্ত্রী কপালের ফের মানতে না পেরে কয়েকবার দুর্ঘটনার টার্গেট নিয়েছেন। এই অবস্থায় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে না পারলে সব শেষ।বীরভূমের স্কুল থেকে হুগলির স্কুলে বদলির জন্য বীরভূমের স্কুলের নো অবজেকশন প্রয়োজন। স্কুল তা না দেওয়ায় হাইকোর্টে মামলা করেন।বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শিক্ষকের প্রকৃত সমস্যা জানতে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, এর আগে বদলির নো অবজেকশন দেওয়া হলেও তিনি তা নেননি।
advertisement
আরও পড়ুন-Calcutta High Court: এক দিনের খুঁত ধরতে গিয়ে হাইকোর্টে ফাঁপড়ে শিক্ষাসচিব !
শিক্ষকের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, কয়েকমাস আগে এনওসি বা বদলির কথা বলা হলেও সেই সংক্রান্ত কোনও সমন্বয় সূচক বার্তা দেওয়া হয়নি। দুই পক্ষের সওয়াল শোনার পর মানবিক হাইকোর্ট একক বেঞ্চ নো অবজেকশন-সহ বদলির নির্দেশ দেয় মঙ্গলবার। হুগলি বালিগুরি অধর্মিনী বিদ্যামন্দিরে বদলির জন্য বীরভূমের স্কুল রিলিজ দেবে ২৫ মার্চ মধ্যে। ২৯ মার্চ মধ্যে জয়েন করবেন নতুন স্কুলে দেবজ্যোতি মণ্ডল। সাম্প্রতিক সময়ে নজিরবিহীন ভাবে শিক্ষক'কে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে শিক্ষক তাঁর সন্তান ও স্ত্রী'র স্বাস্থ্য নিয়ে আদালতকে অবগত করবে।
আরও পড়ুন-পছন্দের শীর্ষে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, কিন্তু কেন? রইল বিস্তারিত
চিকিৎসার নথিপত্র, প্রেসক্রিপশন আদালতে প্রয়োজনে সামনে আনবেন শিক্ষক। মামলা চলাকালীন শিক্ষকের পরিবারের সদস্যদের এজলাসে ডেকে কথা বলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি-র বার্তা, হাসিখুশি থাকুন আনন্দে থাকুন, সন্তান ও স্ত্রী'র সুচিকিৎসা করুন সব ঠিক হয়ে যাবে। হাই কোর্টের মানবিক সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন আইনজীবীদের অনেকেই।