সিবিআই-এর দায়ের করা গরু পাচার মামলাতেই জামিন চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। যদিও গতকাল মামলার শুনানি চলাকালীনই তৃণমূল কর্মী শিবঠাকুর মণ্ডলকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে অনুব্রতকে হেফাজতে পেতে যেভাবে পুলিশ সক্রিয় হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন দুই বিচারপতি। পুলিশের ভূমিকা অস্বচ্ছ এবং লজ্জাজনক বলেও উল্লেখ করেছিলেন দুই বিচারপতি। যদিও কী কী কারণে আদালত জামিনের আবেদন খারিজ করল, তার বিস্তারিত নির্দশনামা এখনও পাওয়া যায়নি।
advertisement
আরও পড়ুন: 'ভালবেসে নিশ্চই অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হয়নি!', এসএসসি-কাণ্ডে টাকার লেনদেন নিয়ে প্রশ্ন সিবিআই-কে
অন্য়দিকে এই মামলায় সিবিআই-এর পক্ষ থেকে বার বারই আদালতে যুক্তি দেওয়া হয়, অনুব্রত মণ্ডল যথেষ্ট প্রভাবশালী। তিনি জামিন পেলে মামলার সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন বলেই দাবি ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবীদের। উদাহরণ হিসেবে বগটুই কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্য়ুর পর যেভাবে গরু পাচার মামলার তদন্তকারী সিবিআই অফিসারদের নাম জড়ানো হয়েছে, সেই বিষয়টিও আদালতের নজরে এনেছিলেন সিবিআই-এর আইনজীবী।
সিবিআই আরও অভিযোগ করেছিল, জেলে বসেই অনেকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখছেন অনুব্রত মণ্ডল। যদিও এ কথা শুনে পাল্টা সিবিআই-এর আইনজীবীকেই আদালত প্রশ্ন করে, কোথা থেকে বা কার সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল কথা বলেছেন, তার বিস্তারিত তথ্য় কেন জোগাড় করতে পারেননি সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসাররা। একই সঙ্গে রাজনৈতিক কারণেই সিবিআই অনুব্রত মণ্ডলকে জেলবন্দি করে রাখছে কি না, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবীকে সেই প্রশ্নও করে হাইকোর্ট।