চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই এই নির্দেশ কার্যকর করার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ৷ পাশাপাশি, এ দিন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ভর্ৎসনার মুখেও পড়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা৷ প্রধান বিচারপতি মামলার রায় দিতে গিয়ে বলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশন যদি আদালতের নির্দেশ কার্যকর করতে না পারেন তাহলে তিনি যেন পদ ছেড়ে দেন৷ তাঁর জায়গায় নতুন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করবেন রাজ্যপাল৷
advertisement
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটেও এবার সিবিআই তদন্ত! বিডিও-র বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগে নির্দেশ হাইকোর্টের
প্রসঙ্গত, সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই ভোট করাতে হবে বলে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট৷ শীর্ষ আদালতে খারিজ হয়ে যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকারের আবেদন৷ এর পর গতকালই রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভোটের জন্য মাত্র ২২ কোম্পানি চেয়ে পাঠায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের থেকে ৷ জেলা পিছু এক কোম্পানি বা একশোরও কম জওয়ান চাওয়া হয়৷ যদিও এত কম বাহিনী দিয়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব নয় বলে দাবি করে ফের এ দিন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷
সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এ দিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে বড়সড় ধাক্কা দিয়ে ২০১৩ সালের থেকেও বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ৷
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে পাঁচ দফায় পঞ্চায়েত ভোটের জন্য ৮৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন৷ সেই সময় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে ছিলেন মীরা পাণ্ডে৷